কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

করোনায় অর্ধেকের বেশি মৃত্যু সাধারণ ছুটির পরের ১৯ দিনে

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২০, ১৪:০৫

দুই মাস সাধারণ ছুটি শেষে উন্মুক্ত ১৫ দিনেও লকডাউনের ধকল কাটাতে পারেনি শ্রমজীবী মানুষ। জীবন-জীবিকার তাগিদে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে তারা ছুটছে। কেউ কেউ অপ্রয়োজনেও ছুটছে। বিনোদন কেন্দ্র ও পার্ক বন্ধ থাকলেও মানুষ উন্মুক্ত স্থানে প্রতিনিয়ত আড্ডা দিচ্ছে। সংক্রমণ ধরা পড়ার পর মোট আক্রান্ত ও মৃত্যুর অর্ধেকের বেশি এই ১৯ দিনে হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রামণ নিয়ন্ত্রণের জন্য গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত বাংলাদেশে লকডাউন করা হয়। অবশ্য সরকারিভাবে এটিকে ‘সাধারণ ছুটি’ বলা হয়েছে। পরে জীবন-জীবিকার জন্য ৩১ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু পরিচালনা করার নির্দেশনা দেয় সরকার। মূলত জুনের ১ তারিখ থেকে মানুষ করোনা পরিস্থিতিতে বাধাহীনভাবে জীবিকার সন্ধানে নেমেছে। যদিও রাজধানীতে স্বাস্থ্যবিধি না মানার জন্য কখনও কখনও মোবাইল কোর্ট শাস্তি দিয়ে থাকে, তবে সেই প্রক্রিয়া মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে যথেষ্ট নয় বলে ইতোমধ্যে প্রমাণিত। এই প্রতিবেদনে লকডাউন ছাড়া জুনের প্রথম ১৯ দিনের চিত্র দেখানো হবে।

জীবন-জীবিকার তাড়না ছাড়াও চলছে অপ্রয়োজনে বাইরে বের হওয়ার প্রতিযোগিতা

লকডাউনের সময়ে শুধু দৈনিক রোজগার করা মানুষরাই নয়, স্বল্প আয়ের মাসিক বেতনভুক্তদের আয়ের পথও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই মানুষরা সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা নিয়ে কিছুদিন চললেও তা দুই মাসের জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। তাই লকডাউনের মধ্যেও নিম্নআয়ের মানুষ বের হয়েছে। এক্ষেত্রে তারা মোটেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারেনি। ধানমন্ডি ২৭ নম্বর মোড়ে কথা হয় রিকশাচালক জাহাঙ্গীরের সঙ্গে। তিনিসহ নয় জন রিকশাচালক যাত্রী বহনের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। কারও মুখে মাস্ক নেই। একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে দাঁড়িয়ে ও বসে কথা বলছেন তারা। এরকম চিত্র রাজধানীজুড়েই। এসব খেটে খাওয়া মানুষ পেটের দায়ে বের হন। কিন্তু জীবিকার তাগিদের বাইরেও রাজধানীর উন্মুক্ত স্থান হাতিরঝিল, ধানমন্ডি লেকসহ বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য মানুষকে আড্ডা দিতে দেখা গেছে এই ১৫ দিন। অনেকে হাতিরঝিলে গোলাকার হয়ে দাঁড়িয়ে জন্মদিনের পার্টিও করে।

স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি সাধারণ মানুষসহ সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধীনস্থ দফতর ও প্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে যথাযথভাবে পালনের জন্য অনুরোধ করা হলেও তা পুরোপুরি মানা হচ্ছে না কোথাও। এমনকি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কেন্দ্র সচিবালয়েও তা মানা হচ্ছে না। সেখানে অনেকটাই উপেক্ষিত সরকারের দেওয়া ১২ নির্দেশনা। রাজধানীর ব্যস্ত কাঁচাবাজার কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতাদের হলি ক্রস কলেজের সামনের সড়কে নিলেও সেখানে কোনও স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। গায়ে গায়ে মানুষ দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছে। সবজি বিক্রেতা রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করি সবকিছু মেনে চলতে, কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব করলে দোকানের সামনে মানুষের ভিড় লেগে যায়। রাস্তা ব্লক হয়ে যায়। তাই দ্রুত চেষ্টা করি ক্রেতাদের বিদায় করার।’

সবকিছুর মতো রাজধানীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন দোকান, শপিং মল খুলে দেওয়া হয়েছে। এসব জায়গাতেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী আসতে পারছে না। সকালে রাজধানীর বাসগুলোতেও থাকে যাত্রীদের চাপ, আসন খালি রেখে সকালে মিনিবাস চলতে পারছে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও