কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

বাজেটকে দেউলিয়া বললো জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট

বাংলা নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২০, ২০:৫৫

ঢাকা: জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ সালে প্রস্তাবিত বাজেটকে পুরোটাই দেউলিয়া দাবি করলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ।জাতীয় সংসদে বাজেট পেশের প্রায় এক সপ্তাহ পর শুক্রবার (১৯জুন) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাজেট প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

তারা বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম, বাজেটের এক তৃতীয়াংশ ঘাটতি, যা জিডিপির ৬ শতাংশ । কিন্তু এখন পত্রিকান্তরে প্রকাশিত অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট দেখার পরে আমরা স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি যে এ বাজেট সম্বন্ধে আমরা যেকথা ইতোমধ্যেই বলেছিলাম সেটাই সঠিক। অর্থাৎ পুরোটাই দেউলিয়া বাজেট। সরকারকে আগামী বছর ঋণ নিতে হবে সাকুল্যে ৫ লাখ ৭১ হাজার কোটি টাকা। যেখানে আগামী বছরের প্রস্তাবিত বাজেট হলো ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ঋণ হলো বছরের সর্বমোট বাজেট বরাদ্দের চেয়েও বেশি। এরকম মারাত্মক অর্থনীতির পরিস্থিতি বাংলাদেশের প্রায় ৫০ বছরের ইতিহাসে অতীতে কখনো হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই ।

ইতোমধ্যেই অবস্থা এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশু এখন জন্মের সময়ই মাথার ওপরে প্রায় ৬০ হাজার টাকার ঋণ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী বছর শেষে আমাদের নবজাত শিশুর ওপর ঋণের বোঝা চাপবে প্রায় এক লাখ টাকা। এরপরে বাজেট সম্বন্ধে সম্ভবত আর কিছু বলার প্রয়োজন হয় না।

ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বলেন, বিশ্ব মহামারি করোনার কারণে পশ্চিমা অর্থনীতির অবস্থা নাজুক। সেখানে কেবলমাত্র গার্মেন্টস খাত দিয়ে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার চিন্তা খুব একটা ঝুঁকিমুক্ত হবে না। যাদের কাছে গার্মেন্টস পণ্য বিক্রির চিন্তা করছি, তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক হলে ওই পণ্য বিক্রি কঠিন হয়ে যাবে। তাই অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হলে একটামাত্র খাতের ওপর ভরসা করলে চলবে না। আমাদের অর্থনীতিকে ডাইভার্সিফাইড করতে হবে। কিন্তু সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা প্রস্তাবিত বাজেটে নেই। পাশাপাশি বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিটেন্স খাতেও একই চিত্র। আগামীতে রেমিটেন্সের ওপর যে ধ্বসের আশংকা দেখা দিয়েছে তাতে করে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের কথা বাদ দিলেও প্রবাসী আয়ের ওপর নির্ভরশীল গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনধারার ওপর নগদ অর্থের অভাবে যে আঘাত আসবে তা সামাল দেয়া সত্যি কঠিন হবে। তার ওপরে কুয়েতের সাম্প্রতিক ঘটনা বিদেশে মানবসম্পদ রফতানির ক্ষেত্রে নতুন চাপ সৃষ্টি করেছে।

তারা আরও বলেন, আমরা বছরের পর বছর ধরে দেখছি নামমাত্র কর দিয়ে অবৈধ সম্পদকে বৈধ করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতির কী উত্তরণ হয়েছে তা এখন পর্যন্ত কারো কাছে বোধগম্য নয়। এখন সময় এসেছে এধরনের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে এই বিপদের সময়ে দেশের করোনা আক্রান্ত মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় বিনিয়োগ করা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও