কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘প্রস্তাবিত বাজেট তামাক কোম্পানিকে লাভবান করবে’

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২০, ১৮:৫৩

নতুন ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তামাক কর তামাক কোম্পানিকে লাভবান করবে এবং জনগণ ও সরকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে মনে করে তামাকবিরোধী ১৮টি সংগঠন।

এসব সংগঠনের পক্ষ থেকে শুক্রবার (১৯ জুন) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রস্তাবে সিগারেটের মূল্যস্তর না কমানো এবং তামাকজাত দ্রব্যের দাম আগের মতো রাখা বা নামমাত্র বৃদ্ধি করায় এর ব্যবহার কমাতে কোনো অবদান রাখবে না। বরং মানুষের ক্রয় সামর্থ বৃদ্ধি ও মূল্যস্ফিতির তুলনায় দাম বৃদ্ধি অনেক কম হওয়ায় দেশে তামাকের ব্যবহার বাড়বে, যা দেশের জনস্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে নজিরবিহীন হুমকির মুখে ফেলবে।’

বিবৃতি প্রদানকারী সংগঠনগুলো হলো- এইড ফাউন্ডেশন, আর্ক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটি, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা), বিসিসিপি, বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি), ঢাকা আহসানিয়া মিশন, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি, নাটাব, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন, প্রজ্ঞা, সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র), তামাক বিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ), টোব্যাকো কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ সেল, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট ও ইপসা।

তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো আরও বলেছে, 'বাজেট প্রস্তাবে নিম্নস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের দাম মাত্র ২ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে প্রতি শলাকায় দাম বাড়বে মাত্র ২০ পয়সা বা ৫.৪ শতাংশ। অথচ একই সময়ে মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৬ শতাংশ। ধূমপায়ীদের ৭২ শতাংশই নিম্নস্তরের সিগারেটের ভোক্তা। নিম্ন স্তরে এই সামান্য দাম বৃদ্ধি এবং মধ্যম স্তরের দাম অপরির্তিত রাখায় তাদের ধূমপানের অভ্যাস আরও বাড়বে এবং আয় বৃদ্ধির তুলনায় পণ্যটি সস্তা হয়ে যাওয়ায় কিশোর-তরুণরা ধূমপানে উৎসাহিত হবে। উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তর সিগারেটের মূল্য যথাক্রমে মাত্র ৪ ও ৫ টাকা দাম বৃদ্ধি একই ফল আনবে বরং এখানে করহার বৃদ্ধি এবং সুনির্দিষ্ট কর আরোপ না করায় সরকার অতিরিক্ত রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে এবং তামাক কোম্পানির লাভের পরিমাণ বদ্ধি পাবে।'

'বিড়ির ক্ষেত্রে, প্রতি শলাকা বিড়ির দাম বেড়েছে মাত্র ১৬ পয়সা। এই বৃদ্ধি তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমাতে বা রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে কতটা অবদান রাখবে তা সহজেই অনুমেয়। বরং এখানেও কোম্পানির লাভ প্রতি ২৫ শলাকা বিড়ির প্যাকেটে ২ টাকা ১৬ পয়সা বাড়বে।'

'জর্দার মূল্য বৃদ্ধি সন্তোষজনক হলেও গুলের মূল্য সামান্য বৃদ্ধি এবং পণ্য দুটির ওপর সুনির্দিষ্ট কর আরোপ না করায় এখানেও উৎপাদনকারী কোস্পানির লাভ বাড়ছে প্রতি ১০ গ্রাম জর্দায় ১ টাকা ৪০ পয়সা এবং গুলে ৭০ পয়সা।'

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও