কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

করোনা সংক্রমণ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়

ঢাকা টাইমস প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২০, ১০:২১

ডায়াবেটিস থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে এটি অজানা নয়। রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকলে সেই কো-মর্বিডিটি করোনা রোগীর জটিলতার ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়, এমন অনেক নজির মিলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস রোগীর করোনা হলে যেমন তার সুগার সংক্রান্ত জটিলতা বেড়ে যায়, তেমনই আবার ডায়াবেটিস নেই (নর্মো-গ্লাইসিমিক), এমন ব্যক্তিরও ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে এই ভাইরাস। এই মর্মে বিশ্বের ১৬ জন ডায়াবেটিস-বিশেষজ্ঞের লেখা একটি চিঠি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন’ নামের বিজ্ঞান সাময়ীকিতে। সেখানে বলা হয়েছে, ডায়াবেটিস থাকলে যেমন করোনা হলে জটিলতা বাড়ে, তেমনই করোনাও বাড়িয়ে তোলে ডায়াবেটিসের গোলমাল। এমনকি করোনা শরীরে ডায়াবেটিসের জন্ম দিতেও সক্ষম।


চিঠির প্রেরক ১৬ জন ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের অন্যতম, ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের সভাপতি পল জিমেট জানান, ‘টাইপ-ওয়ান ও টাইপ-টুয়ের পাশাপাশি নভেল করোনাভাইরাস থেকে একটি তৃতীয় গোত্রের ডায়াবেটিসও হতে পারে। তাকে বলে কিটোসিস-প্রোন ডায়াবেটিস। এটাই সব চেয়ে চিন্তার।’ তিনি জানান, ডায়াবেটিসের এই ঝুঁকি কোভিডের পূর্বসূরি সার্স (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) ও মার্স (মিডল-ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) সংক্রমণের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছিল। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসা মাত্র আলোড়ন পড়েছে আন্তর্জাতিক চিকিৎসক মহলে। কলকাতাও তার ব্যতিক্রম নয়।


যদিও এখনই এ নিয়ে বিচলিত হতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে চিঠি লেখা বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, করোনা রোগীদের ডায়াবেটিস সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্য মজুত রাখা হোক। এতে আগামী দিনে বোঝা যাবে, কোভিডের জেরে ডায়াবেটিস রোগী হয়ে পড়া কত জনের ক্ষেত্রে করোনামুক্তির পর ডায়াবেটিস সেরে উঠছে। কীভাবে নভেল করোনাভাইরাস ডায়াবেটিসের জন্ম দেয়? ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, টাইপ-ওয়ান ডায়াবিটিস যেভাবে দানা বাঁধে শরীরে, করোনা অনেকটা সেভাবেই ডায়াবেটিসের জন্ম দিতে পারে নর্মো-গ্লাইসিমিক ব্যক্তির শরীরে।


টাইপ-ওয়ান ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, ঋতু পরিবর্তনের মৌসুমেই অসুখটা সবচেয়ে বেশি জন্ম নেয়। পরিবেশে থাকা বিভিন্ন ভাইরাস অগ্ন্যাশয়ের বিটা কোষের বারোটা বাজিয়ে ইনসুলিন উৎপাদনে বিঘ্ন ঘটায়। সম্ভবত, নভেল করোনাভাইরাসও একই ধরনের হামলা চালায় বিটা কোষে। এক্ষেত্রে বিটা কোষের ক্ষতি স্থায়ী না অস্থায়ী, বিশেষজ্ঞরা সেই উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত। ঢাকা টাইমস/১৮জুন/একে

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও