কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

লকডাউন নিয়ে অস্পষ্টতা, প্রস্তুতিতে ঘাটতি

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২০, ০৮:২২

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লকডাউন (অবরুদ্ধ ব্যবস্থা) করার ব্যাপারে অস্পষ্টতা দেখা দিয়েছে। কোন এলাকায় লকডাউন করা হবে, তা এখনো পরিষ্কার না। লকডাউন কার্যকর করার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও শেষ হয়নি। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, করোনা প্রতিরোধে আর সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না।

লকডাউন বিষয়ে সরকারের মধ্যে সিদ্ধান্তহীনতা কাজ করছে। গতকাল সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে বলা হয়, নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিবেচনায় লাল (উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ) ও হলুদ (মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ) এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে। বিকেলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বলা হয়, ছুটি থাকবে শুধু লাল এলাকায়।


১৫ মে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজধানীসহ দেশের বড় শহর এলাকায় লকডাউন করার পরামর্শ দিয়েছিল পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজরি কমিটি। প্রায় এক মাস পর ১১ জুন লকডাউন নিয়ে কাজ করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রধান করে ১৩ সদস্যের কেন্দ্রীয় কারিগরি গ্রুপ করা হয়েছে। গ্রুপটি রাজধানীর ৪৫টি এলাকাকে লাল এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

গতকাল ধানমন্ডির একজন বাসিন্দা প্রথম আলোতে ফোন করে জানতে চেয়েছেন, পুরো ধানমন্ডি এলাকা লকডাউন হবে কি না, হলে কবে থেকে? যে ৪৫টি এলাকার নাম এসেছে, সেসব এলাকায় বসবাসকারী অনেকের মধ্যেই এ প্রশ্ন আছে। কেন্দ্রীয় কারিগরি গ্রুপের সদস্য ও রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছোট ছোট এলাকায় লকডাউন করা হবে। ঠিক কবে নাগাদ লকডাউন শুরু হবে, তা বলা যাচ্ছে না। আমরা এখন ম্যাপিংয়ের কাজ করছি।’

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এর আগেও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন করেছিল সরকার। রাজধানীর টোলারবাগে বা মাদারীপুর জেলার শিবচর এলাকায় লকডাউন করে সংক্রমণ প্রতিরোধে সফলতা পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু গত তিন মাসে করোনা প্রতিরোধে আর কোনো বড় উদ্যোগ দেখা যায়নি। ২৪ মার্চ থেকে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে কয়েক দফায় তা বাড়িয়েছিল। এসব পদক্ষেপ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারেনি। এখন প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার ব্যক্তি সংক্রমিত বলে শনাক্ত হচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়লে শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যাও বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সংক্রমণ কমে পরিস্থিতি কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে, তা কেউ বলতে পারছে না।

বর্তমানের লকডাউন উদ্যোগ ছাড়া সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা সরকারের আর কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। তবে এ ক্ষেত্রে যে তথ্য ব্যবহার করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের দেওয়া মতামত পুরোপুরি না মেনেই কাজ শুরু হতে যাচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও