টিআরপিতে আমার ১ নম্বর নাটকটি জঘন্য
গেল ঈদে জাকিয়া বারী মম অভিনীত কয়েকটি নাটক প্রচারিত হয়েছে। এসব নিয়ে কথা বলতে ফোনে চেষ্টা করে খোঁজ মিলছিল না তাঁর। মেসেঞ্জারে কথা হলে জানা যায়, কয়েক দিন ধরে সিমকার্ডটা নষ্ট। করোনার কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না, তাই ঠিকও করা হচ্ছে না। গতকাল কথা হয়েছে তাঁর সঙ্গে। অনেকে শুটিং শুরু করেছেন। আপনি কবে শুরু করছেন?এখনো জানি না। অনেক গল্প পেয়েছি, মোটেও আগ্রহ পাচ্ছি না।
এত বছর ধরে অভিনয় করছি, একটা গল্প পড়ে তৃপ্ত হতে হবে তো। কেমন গল্প চাইছেন?বলছি না, এক্সপেরিমন্টে কিছু হতে হবে। সহজ কথায় গোছানো কিছু তো বানাতেই পারি নাকি? বাইরের দেশের কাজ দেখে যেমন ইউনিট কল্পনা করি, আমরা তো তেমন ইউনিট পাইনি, চাইও না। তারপর যা আছে, তার মধ্যে ভালো কিছু চেষ্টা তো করতেই পারি। এই মহামারির মধ্যে মানহীন গল্পে খামাখা কেন ঝুঁকি নেব। এত বছরের অভিজ্ঞতায় সমস্যাটা কোথায় মনে হয়?আমাদের কম্বিনেশনে সমস্যা। এটা আছে তো ওটা নেই। কেমন যেন খাপছাড়া। তরকারি ভালো রান্না হতে হলে লবণ বেশি হলে যেমন সমস্যা, তেমনি কম হলেও খাওয়া যায় না। আরও যা যা মসলা লাগে, ঠিকভাবে দিতে হয়।
নাটক–সিনেমাও একই। দর্শককে যা দিতে চাইছি, রেসিপি ঠিক না হলে ব্যালেন্সটা থাকে না। কমবেশিতে এখন আর আমার চলতে ইচ্ছা করছে না। সবকিছু ঠিকঠাক হতে হবে। জোড়াতালি দিয়ে আর কত। তাহলে তো কাজ করাটাই মুশকিল হবে...আমি যে কাজটা করতে চাই, এখনো আমার কাছে আসেনি।
এখন আর কোনো কম্প্রোমাইজ নেই। জীবনের একটা বড় সময় দেখলাম। দুই লাখ টাকা বাজেটের নাটকে অভিনয় করতে করতে তো ১২-১৪ বছর পার করে দিলাম। আর কত। নাটকের বাজেটও বাড়ে না, সবার মুখ মলিন হয়ে থাকে। হাজার রকম এক্সকিউজ থাকে। আমাদের দেশে তো যথেষ্ট মেধাবী অভিনয়শিল্পী আর পরিচালক আছেন।আছেন, কিন্তু সেই সব মেধার যথেষ্ট মূল্যায়ন আমাদের দেশে হয়নি।