অজয়কে নিয়ে হাতাহাতি হয়েছিল কারিশমা-রবিনার মধ্যে!
বলিউডে ঠাণ্ডা যুদ্ধ নতুন কোনও বিষয় নয়। সব সময়েই কারও না কারও সঙ্গে, কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে এই যুদ্ধ জারি থাকে। কখনও তা প্রকাশ্যে চলে আসে। কখনও আবার সে সব সুপ্তই থেকে যায় বলিউডের অন্দরে। তেমনই রবিনা ট্যান্ডন এবং কারিশমা কাপুরের সম্পর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে তা এক সময়ে হাতাহাতিতে গিয়ে দাঁড়ায়! কী থেকে এই সম্পর্কের টানাপড়েন? কেনই বা তা হাতাহাতিতে পৌঁছেছিল সে সম্পর্ক? প্রযোজক, অভিনেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক কারিশমার! সময়টা নব্বইয়ের দশক।
সে সময় বলিউডে সেরা নায়িকাদের নাম উঠলে অবশ্যই সেই তালিকায় থাকতেন রবিনা ট্যান্ডন এবং কারিশমা কাপুর। এক সঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবিতেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে রবিনা-কারিশমাকে। তার মধ্যে রয়েছে- আতিশ (১৯৯৪), আন্দাজ আপনা আপনা (১৯৯৪), রক্ষক (১৯৯৬)। এক সঙ্গে ছবি করলেও দু’জনের মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই কিন্তু বহাল ছিল। মুখ দেখাদেখি হলেও কেউ কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। রবিনা-কারিশমার মধ্য ঝামেলার কারণ ছিলেন না-কি অজয় দেবগণ।
বলিউডে গুঞ্জন ছিল, অজয়কে খুব পছন্দ করতেন রবিনা। অজয়ের সঙ্গে ডেট করছেন তিনি, এমন দাবি করতেও শোনা গিয়েছিল রবিনাকে। রবিনা যখন একদিকে এই দাবি করছিলেন, অন্যদিকে সেই সময় কারিশমার সঙ্গে অজয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। কারিশমা-অজয়ের এই ঘনিষ্ঠতাকে না-কি মেনে নিতে পারেননি রবিনা। তখন থেকেই রবিনা-কারিশমার মধ্যে ‘শত্রুতা’র সূচনা। দুই অভিনেত্রীর মধ্যে সম্পর্কটা যখন বেশ ঘোরালো হয়ে উঠেছে, সেই সময়ই একই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পান রবিনা-কারিশমা। সালটা ১৯৯৪। সঞ্জয় গুপ্তর ‘আতিশ’ ছবিতে ডাক পান রবিনা-কারিশমা। পরিচালক ও কোরিওগ্রাফার ফারহা খান এই ছবিতে কাজ করছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ছবির শুটিংয়ের সময় দুই অভিনেত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
এক সময় তা হাতাহাতিতে পৌঁছায়। এমনকি লাথালাথিও চলে দু’জনের মধ্যে! ‘আতিশ’ ছাড়াও ‘আন্দাজ আপনা আপনা’ ছবিতেও দু’জনে এক সঙ্গে কাজ করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে রবিনা জানান, তাদের দু’জনের মধ্যে ঝামেলা নিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন ছবির পরিচালক রাজকুমার সন্তোষী, আমির এবং সালমান খান। আমির ও সালমান ওই ছবিতে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। রবিনা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, কারিশমা এবং আমার মধ্যে ঝমেলা মেটানোর জন্য আমির, সালমান এবং পরিচালক রাজকুমার একটা পরিকল্পনা করেন। ছবিতে আমাদের দু’জনকে একটা থামের সঙ্গে বেঁধে রাখার একটা দৃশ্য ছিল।