কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

১০ মাস ধরে নিম্নমুখী রফতানি আয়

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ০৯ জুন ২০২০, ২৩:৫৫

রফতানির বাজার ভালো নেই গত ১০ মাস ধরেই। এর সঙ্গে সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস বাংলাদেশের পণ্য রফতানিতে ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ১০ মাস ধরেই রফতানি আয়ের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকে টানা নভেম্বর পর্যন্ত এই আয় কমতে থাকে। গত আগস্ট মাসে আগের বছরের আগস্টের চেয়ে সাড়ে ১১ শতাংশ রফতানি আয় কম হয়। সেপ্টেম্বরে কমে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ। অক্টোবরে কমে ১৭ দশমিক ১৯ শতাংশ। নভেম্বরে কমে প্রায় ১১ শতাংশ। ডিসেম্বরে রফতানি প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক ধারায় না থাকলেও জানুয়ারিতে আবারও নেতিবাচক ধারায় ফিরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ঋণাত্মক ১ দশমিক ৭ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে হয় মাইনাস ১ দশমিক ৮ শতাংশ। মার্চে মোট রফতানি কমেছে ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। এপ্রিলে কমেছে ৮২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। আর সর্বশেষ মে মাসে কমেছে ৬১ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, রফতানি এখন বড় দুশ্চিন্তার খাত। বিশেষ করে করোনার কারণে তৈরি পোশাকের চাহিদা কমে গেছে। তৈরি পোশাক নির্ভর এই খাতকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ দেন তিনি।

তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই তৈরি পোশাক খাত নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মহামারি করোনা। করোনার আগেও রফতানি নিম্নমুখী ছিল কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদেশের বাজারে তৈরি পোশাকের দাম কিছুটা কমে যাওয়ার কারণে রফতানি আয় কম এসেছে।

এদিকে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এর তথ্য বলছে, গত মে মাসে মাত্র ১৪৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। গত বছরের একই সময়ে রফতানির পরিমাণ ছিল ৩৮১ কোটি ৩৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার।

এপ্রিলে এই রফতানির পরিমাণ ছিল মাত্র ৫২ কোটি ডলার। এপ্রিলের তুলনায় মে মাসে পণ্য রফতানি প্রায় তিন গুণ বাড়লেও তা গত বছরের মে মাসের চেয়ে ৬১ দশমিক ৫৭ শতাংশ কম।

শুধু তাই নয়, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই থেকে মে) বিশ্ববাজারে ৩ হাজার ৯৫ কোটি ৯১ লাখ ৪০ হাজার ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৭৯ কোটি ডলার কম। গত অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি হয়েছিল ৩ হাজার ৭৭৫ কোটি ৬ লাখ ডলারের পণ্য। অর্থাৎ ১১ মাসে রফতানি কমেছে ১৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

পরিসংখ্যান বলছে, পোশাক এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি কমলেও পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি বেড়েছে। তবে দেশের মোট রফতানির ৮৪ শতাংশ অবদান রাখা পণ্য পোশাকের রফতানি কমার প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক রফতানিতে। তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকরা বলছেন, নতুন অর্ডার আসছে না। আবার অনেক ক্রেতা আগের অর্ডারও বাতিল করেছে। ফলে সামনে বড় সঙ্কটের আশঙ্কা করছেন তারা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও