কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মৃতের গোসলে কেউ আসেনি, এগিয়ে এলেন দুই যুবক

ডেইলি বাংলাদেশ প্রকাশিত: ০৯ জুন ২০২০, ১৯:২৭

পাবনার সুজানগরের পৌর সদরে এক বৃদ্ধ করোনা উপসর্গ নিয়ে মঙ্গলবার ভোরে মারা যান। ভয়ে ওই মহল্লার কেউ তার গোসল করাতে আসেননি।
মঙ্গলবার দুপুরে পাবনা শহরের দুই যুবক খবর পেয়ে তার কাফন, জানাজা ও দাফনের কাজ সারেন। ওই বৃদ্ধ দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন। ওই বৃদ্ধ সুজানগরের পৌর সদরের মসজিদ পাড়া মহল্লার বাসিন্দা। স্বেচ্ছাসেবী দুই যুবক হলেন দেওয়ান মাহবুব ও তার সহযোগী শিশির ইসলাম।

দেওয়ান মাহবুব পাবনা শহরে তার মৃত মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত তহুরা আজিজ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এবং সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক দেওয়ান আজিজুল ইসলামের ছেলে ।

সুজানগর পৌরসভার মেয়র আব্দুল ওয়াহাব বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই বৃদ্ধ মারা যাওয়ার পর তিনি ওই বাড়িতে যান। কিন্তু করোনা সংক্রমণের ভয়ে ওই বাড়ির লোকজন, প্রতিবেশী ও আত্নীয়-স্বজন কেউই তার গোসল দেয়াচ্ছিলেন না।তিনি স্থানীয়দের অনুরোধ করার পরও কেউ শুনছিলেন না। এমনকি সুজানগরে যারা করোনা রোগীদের দাফন কাফন করাবেন বলে তালিকভুক্ত হয়েছিলেন তারাও কেউ এগিয়ে আসেননি।

মেয়র আরো জানান, তিনি এরইমধ্যে জানতে পারেন পাবনা শহরের কালাচাঁদ পাড়ার বাসিন্দা দেওয়ান মাহবুব ও তার এক বন্ধু শিশির ইসলাম করোনাক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে তার গোসল ও দাফনের (প্রয়োজন বোধে) কাজ করে দেন। দেওয়ান মাহবুবকে ফোনে বলামাত্র তারা শহর থেকে দুইজন সুজানগরে রওনা দেন এবং মৃত ব্যক্তির গোসল করান। তাদের দেখে অভয় পেয়ে কয়েকজন লোক আসেন। পরে তারা স্থানীয় কিছু লোকের সঙ্গে জানাজায় অংশ নেন। দাফন শেষে তারা দুইজন বিদায় নেন।

পৌর মেয়র আবেগজড়িত কণ্ঠে বলেন, অনেক অনুরোধ করে মৃত ব্যক্তির গোসল করাতে কাউকে রাজি করাতে পারছিলাম না। সেখানে এ দুই যুবক খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন।

তহুরা আজিজ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক দেওয়ান মাহবুব জানান, তিনি এ কাজটিকে একজন মুসলমানের পবিত্র দায়িত্ব হিসেবেই নিয়েছেন। করোনা রোগী বা সন্দেহজনক রোগী মারা গেলে ভয়ে কেউ তার গোসল বা দাফনে অংশ নিতে চান না। এ রকম ঘটনা জানার পরই তিনি ফেসবুক পেজে বেশ কিছুদিন আগে স্ট্যাটাস দেন যে, এরকম সমস্যা হলে তাকে যেন খবর দেয়া হয়। তিনি ও তার সহযোগী শিশির হাজির হবেন সেখানে। সে মোতাবেক তিনি পৌর মেয়রের ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রওনা দেন। পরে মৃত ব্যক্তির গোসল সম্পন্ন করেন। এরপর তাদের দেখে মহল্লার কিছু লোজন অভয় পেয়ে কাছে আসেন। কয়েকজন ব্যক্তি জানাজায় অংশ নেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও