কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

যেখানে করোনাও তাঁদের থামাতে পারেনি

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৯ জুন ২০২০, ১৫:১১

সম্পর্কের বয়স প্রায় ৪০ বছর। পরিচয়ের পর থেকেই দিলারা জামান ও শর্মিলী আহমেদের মধ্যে বন্ধুত্ব বাড়তেই থাকে। পরে যা রূপ নেয় পারিবারিক ঘনিষ্ঠতায়। সেই থেকেই তাঁদের মধ্যে ফলমূল, পছন্দের খাবার, এটা-সেটার লেনদেন শুরু হয়। শুধু বন্ধুত্বের খাতিরেই ৭ বছর ধরে তাঁরা পাশাপাশি এলাকায় থাকা শুরু করেন। তখন থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে শুরু হয় নিয়মিত রান্না করা খাবারের লেনদেন।

করোনার সব অভ্যাস বদলে গেলেও বদলায়নি তাঁদের নিত্যদিনের এই অভ্যাস। অভিনেত্রী দিলারা জামান বলেন, ‘১৯৮৩ সালের দিকে শর্মিলীর মায়ের সঙ্গে বিটিভিতে পরিচয়। সেই থেকেই তিনি আমাকে খুবই পছন্দ করতেন। প্রায়ই দেখা হতো। তখন তিনি তাঁর সন্তানদের বলে দেন সে তোমাদের আরেকটা বোন। তারপর থেকে একটু একটু করে বাড়তে থাকা আমাদের সম্পর্ক এখন পরিবারে রূপ নিয়েছে। ও ( শর্মিলী আহমেদ) আগে দূরে ছিল। এখন আমরা উত্তরাতেই পাশাপাশি থাকি। করোনায় দেখা করতে পারি না। প্রতিদিন কথা হয়। বাসায় ভর্তা করলে শর্মিলী আমাকে না দিয়ে খায় না। আমিও তাকে না দিয়ে খেতে পারি না। আমরা আগেকার দিনের মানুষ তো। কিছু রান্না করলেই মনে হয় ওকে দিই।’

অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদের অবশ্য মনে নেই ঠিক কোন দিন পরিচয় তাঁদের। তবে এটা জানেন, ৪০ বছরের কম না। তিনি বলেন, ‘সেই কত আগে থেকে দিলারা জামানকে চিনি। তারপর থেকে আমাদের ভালোবাসা বেড়েই চলেছে। পরিচয়ের পর থেকে আমরা বন্ধুর মতো। দিলারা জামান আমার বন্ধু, বোন দুটোই। এখনো নিয়মিত আমাদের কথা হয়। আমি ফোন করতে দেরি করলে আপা ফোন দেয়। এখন আমরা পাশাপাশি থাকি। আমার বাসায় ভর্তা, ভাজি, মাছ যা–ই রান্না করি, আগে দিলারা আপার বাসায় পাঠাই। আমার মেয়েরাও কিছু রান্না করলে আগে বলবে খালাকে পাঠিয়ে দাও। আবার ওনার দুই মেয়ে কানাডা ও আমেরিকা থাকে। তারা দেশে এলে সব সময় কিছু রান্না করলেই পাঠিয়ে দিত।’ সাত বছর ধরে তাঁরা উত্তরায় থাকেন।

সেই থেকেই শুরু হয় তাঁদের মধ্যে খাবার লেনদেন। বিশ্বের সব নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটলেও করোনার এই দুর্যোগ থামাতে পারেনি তাঁদের খাবার লেনদেন। বাইরের কোনো কিছু স্পর্শ না করলেও এই দুই প্রবীণ গুণী অভিনেত্রী প্রায়ই অপেক্ষা করেন কে কী খাবার বাসা থেকে পাঠাবেন। তারপর খাবেন, ফোনে কথা বলবেন। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়েই বাসার গাড়ির ড্রাইভারের মাধ্যমে রান্না করা তরকারি চলে যায় দুই বাসায়। খাবারের গায়ে থাকে তিন স্তরের পলিথিন, নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে। গেল তিন মাস বাইরের কিছু স্পর্শ না করলেও তাঁরা দুই পরিবারের পাঠানো খাবার অনায়াসে খান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও