কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এক লাফে রপ্তানি আয় কমল ৬২%

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ০৯ জুন ২০২০, ০৮:৫৭

করোনার ধাক্কায় ধস নেমেছে দেশের রপ্তানিতে। দেশ ও বিশ্বজুড়ে ‘লকডাউন’ থাকায় অনেকটাই স্থবির এ খাত। ফলে গত মে মাসে এক লাফে রপ্তানি আয় কমেছে ৬২ শতাংশ। এক বছর আগের একই সময়ের চেয়ে এই আয় কমেছে। মে মাসে আয় হয়েছে ১৪৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪১০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছে ৬৪.৩৪ শতাংশ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা ভূমিধস পতন এবং খুবই হতাশজনক একটি পরিস্থিতি। হিসাব অনুযায়ী এ বছর রপ্তানি আয় কমবে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) ৪০ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, সহসাই রপ্তানি আয় ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসার সম্ভব নেই। এই অবস্থায় দেশের রপ্তানি আয় পুনরুদ্ধারে এই খাতের কর্মীদের আগামী ছয় মাসে থাকা-খাওয়ার দায়িত্ব নিতে হবে সরকার আর উদ্যোক্তাদের। কর্মীদের প্রযুক্তিসক্ষম করে তোলাসহ পুরো পোশাক খাত পুনঃসংস্কার ও আধুনিকায়ন করতে হবে। এ ছাড়া দেশের মুদ্রার বিনিময় হারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আর আকর্ষণীয় উদ্যোগ নিতে হবে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাবে চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) রপ্তানি আয় কম হয়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কমেছে ২৫.৫ শতাংশ। এ সময় লক্ষ্যমাত্রা ছিল চার হাজার ১৫৫ কোটি ডলার। আর আয় হয়েছে তিন হাজার ৯৬ কোটি ডলার। গত অর্থবছরে এই আয় ছিল তিন হাজার ৭৭৫ কোটি ডলার। এ ছাড়া দেশের রপ্তানি আয়ের শীর্ষ খাত তৈরি পোশাক শিল্পে গত ১১ মাসে আয় কম হয়েছে ১৯ শতাংশ। এ সময় আয় হয়েছে দুই হাজার ৫৭০ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। এ সময় লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন হাজার ৪৮৯ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কম হয়েছে ৯১৯ কোটি ডলার বা ২৫.৫ শতাংশ।

জানতে চাইলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি রপ্তানি আয়ে ভূমিধস হয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক। এর ফলে চলতি পঞ্জিকা বছরে রপ্তানি আয় প্রায় ৪০ শতাংশ কম হবে।’

তিনি বলেন, ‘তৈরি পোশাক খাত মে মাসের শেষে খুলেছে। ফলে ডিসেম্বর মাস শেষে মোট রপ্তানি আয় হতে পারে লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশ। এ ছাড়া জুলাই-আগস্ট মাসেও খুব একটা আয় ভালো হবে না। কেননা বিশ্ববাজারে এমনিতেই চাহিদা কম। এর মধ্যে আমাদের পণ্যর চাহিদা আরো কম। এ ছাড়া প্রতিযোগী দেশগুলো ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে। চীন কারখানা পুরোপুরি খুলে ফেলেছে। এ ছাড়া ভিয়েতনাম মনে করে, তারা ৯০ শতাংশ পুনরুদ্ধার করতে পারবে।’

রপ্তানি খাতের প্রযুক্তি সক্ষমতা কম উল্লেখ করে আহসান এইচ মনসুর আরো বলেন, ‘এখন ক্রেতারা আগের মতো ফিজিক্যাল নমুনা পাঠাতে চায় না। থ্রিডি নমুনা পাঠিয়ে কাজ করতে বলে। অথচ প্রযুক্তি সক্ষমতাও আমাদের কম।’

তিনি মনে করেন, এই অবস্থা থেকে উদ্ধারে আগামী ছয় মাসের জন্য রপ্তানি খাতের কর্মীদের থাকা-খাওয়ার দায়িত্ব সরকার ও উদ্যোক্তাদের নেওয়া উচিত। এ ছাড়া পুরো পোশাক খাত পুনঃসংস্কার এবং আধুনিকায়ন করতে হবে। মুদ্রার বিনিয়ম হারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সুদিনের অপেক্ষায় বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হবে। করোনা আতঙ্কে সারা বিশ্ব স্তব্ধ। বিশেষ করে ইউরোপ-আমেরিকা কবে স্বাভাবিক হবে আমরা এই বড় বাজারের দিকে তাকিয়ে আছি। তবে সম্ভাবনাকে বাদ দেওয়া যায় না। রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা এই যাত্রায় কমে গেলেও আগামীতে আমরা আরো ভালো করব। এ জন্য আমাদের প্রযুক্তি সক্ষমতা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে উদ্ভাবন বাড়াতে হবে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও