কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

করোনার ভুয়া সনদে ‘পজিটিভ-নেগেটিভ’ খেলা!

ঢাকা টাইমস প্রকাশিত: ০৬ জুন ২০২০, ০৮:৫৩

নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া পরীক্ষা ও সনদ প্রাপ্তির সুযোগ না থাকলেও কোভিড-১৯ তথা ‘করোনা নেগেটিভ’ সনদ মিলছে সহজেই। পোশাক কারখানাসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান কর্মীদের কাজে যোগদানের ক্ষেত্রে পরীক্ষা রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করার সুযোগে একটি অসাধু চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অংকের টাকা।

এ সম্পর্কিত বিশেষ ধারনা-সচেতনতা না থাকায় জীবন ঝুঁকিতে পড়ছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। আবার কেউ কেউ করোনায় আক্রান্ত না হয়েও পজিটিভ অর্থাৎ সংক্রমিত হয়েছেন মর্মে প্রত্যয়নপত্র নিতে চাইছেন।এখনই সবাইকে সতর্ক করে কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারি নির্দেশনা না এলে মহামারীর মধ্যে এটি আরেকটি সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মানুষের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে এই পরীক্ষা সনদ বাণিজ্যে নেমেছে একটি অসাধু চক্র। টাকার বিনিময়ে তারা দিচ্ছে করোনার নেগেটিভ সনদ। আবার কেউ আবার নিজের সুবিধার্থে নেগেটিভ রিপোর্টকে পজেটিভ করে দিতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দেনদরবার করছেন।

সম্প্রতি ঢাকার পাশে সাভারে করোনা পরীক্ষার ভুয়া সনদ দেয়ার ঘটনায় প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে মাদারিপুরের কালকিনিতে পজেটিভ রিপোর্ট নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে লাপাত্তা হয়েছেন এক ব্যক্তি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এটা তো ভয়াবহ উদ্বেগের বিষয়। মানুষের চাহিদার কারণে প্রতারকরা তৎপর হয়েছে। এখনই সবাইকে সতর্ক করতে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দেশনা দিতে হবে। জনগণকে সচেতন হতে হবে যে নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া করোনার টেস্ট এবং রেজাল্ট দেওয়া সম্ভব না।’

মাদারীপুরের ঘটনাটি ঘটেছে গত ১ জুন। ঢাকায় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে কর্মরত এক ব্যক্তি কালকিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দেওয়ার পর তার ফলাফল নেগেটিভ আসে। কিন্তু তার চাহিদা একটি পজেটিভ সনদের।

এজন্য তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষার স্যাম্পল ও রেজাল্টের ডাটা এন্ট্রির সঙ্গে যুক্ত মো. এনামুল হকের সঙ্গে আলাপ করেন বলেন, ‘আমার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু নেগেটিভ এসেছে এমন কাগজ দেওয়া যাবে?’

এমন প্রস্তাব শুনে আকাশ থেকে পড়ার অবস্থা হাসপাতালটির দায়িত্বরত কর্মকর্তা। দিনি দ্রুত উধর্তন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেন। ততক্ষণে পরিস্থিতি খারাপ দেখে সটকে পড়েন করোনার ‘পজেটিভ’ সনদ চাওয়া ব্যক্তি।

সাভারের ঘটনাটি বৃহস্পতিবারের। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে করোনা টেস্ট করালে নমুনা পরীক্ষার রেজাল্টের সনদ দেয়া হয়। কোনো পোশাক শ্রমিকের টেস্ট রিপোর্ট দেওয়া হলে কারখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি যাচাই করতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও