কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

টানা ঝড়-বৃষ্টিতে উত্তরাঞ্চলের ধান চাষিদের স্বপ্নভঙ্গ

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ০৬ জুন ২০২০, ০৮:৫৩

সুপার সাইক্লোন আম্ফানের পর দফায় দফায় ঝড় ও টানা বৃষ্টিতে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ অঞ্চলে অনেকে লেট ভ্যারাইটির ধান আবাদ করায় ধান পাকতে দেরি হয়েছে। এ অঞ্চলে ধান কাটার পুরো মৌসুম শুরু হতেই চার দফা ঝড় বয়ে যায়। এতে খেতের পাকা ধান ঝরে মাটিতে পড়ে যায়। এর ওপর টানা বৃষ্টিতে হাজার হাজার একর জমির ধান পানির নিচে ডুবে গেছে। ফলে বোরো ধান নিয়ে উত্তরের কৃষক যে স্বপ্ন দেখেছিল তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। রাজশাহী, নাটোর, বগুড়া, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, রংপুর ও দিনাজপুরে ধানের যে ক্ষতি হয়েছে তার ছায়া জাতীয় উৎপাদনেও পড়বে বলে চাষিদের শঙ্কা।

বগুড়ার ধুনট উপজেলার চরপাড়া গ্রামের আদর্শ কৃষক আকিমুদ্দিন শেখ জাগো নিউজকে বলেন, ‘বোরো ধান আবাদে খরচ বেশি, দাম কম, মজুর সংকট ইত্যাদি কারণে বেশি জমিতে ধান আবাদ করা বাদ দিয়েছি। এবার তিন বিঘা জমিতে ধান করেছি শুধু খাওয়ার জন্য। এই তিন বিঘা জমির ধান কেটে বাড়িতে আনতে হাঁপিয়ে উঠেছি। দফায় দফায় ঝড়, বৃষ্টিতে ধান পানিতে পড়াসহ নানা কারণে ধানের ক্ষতি হয়েছে। এসব কারণে এবার ষোলআনা ধান ঘরে উঠবে না।’

তিনি বলেন, ধান পানিতে পড়ার কারণে ধান গাছের অর্ধেক কাটতে হয়েছে। এর ওপর টানা বৃষ্টিতে বাকি খড়ও পচে গেছে। ফলে এবার গো-খাদ্যেরও সংকট দেখা দেবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, আম্ফানের আগে বগুড়ায় ৬০ শতাংশ ধান কাটা হলেও ৪০ শতাংশ ধান কাটা সম্ভব হয়নি। দেরিতে ধান রোপণ করার কারণে ধান পাকতে দেরি হয়ে যায়। তারা বলছেন, উত্তরাঞ্চলে যখন মৌসুম শুরু তখনই ঝড়-বৃষ্টি হানা দেয়।

বগুড়ার কাহালু উপজেলার পালপাড়া গ্রামের রামচন্দ্র মোহন্ত জানান, জলাবদ্ধতার কারণে তার দেড় বিঘা জমির পুরোটাই এখনও পানির নিচে ডুবে আছে। তিনি বলেন, আমি ধান পেতাম ২৪ মণ, কিন্তু এখন চাষ খরচের ১৫ হাজার টাকার একটিও ফেরত আসবে না জমি থেকে।

একই উপজেলার জামতলা গ্রামের আব্দুল কাদের জানান, তার দুই বিঘা জমির পুরোটাই পানিতে ডুবে আছে। তিনি বলেন, আমি দুই বিঘা জমিতে ৪৫ মণ ধান আশা করেছিলাম, কিন্তু একটুও ধান পাব না এবার। খরচ বাবদ ২০ হাজার টাকার পুরোটাই পানিতে গেছে।

জয়পুরহাটের চাষিদের দাবি, প্রাকৃতিক দুর্যোগে এবার তাদের ধানের ফলন কমেছে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মণ। এতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা। আম্ফানসহ কয়েক দফা ঝড়, শিলাবৃষ্টি আর জলাবদ্ধতায় জয়পুরহাটে বিপুল পরিমাণ বোরো ধান নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষি বিভাগ এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছে, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে, যেন সরকার সুযোগ দিলে তাদের সহযোগিতা করা যায়।

জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক এস এম মেফতাহুল বারি বলেন, কৃষি বিভাগে প্রাথমিক যে তথ্য এসেছে, তাতে বলা হয়েছে এলাকাভেদে ধানের ক্ষতি হয়েছে ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত। তিনি আরও জানান, চার দফা ঝড়-বৃষ্টির পাশাপাশি জলাবদ্ধতা এবং ধান কাটার শ্রমিক না থাকায় ক্ষতি কিছুটা বেশি হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও