কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

এবার চার হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে কোটিপতির মৃত্যু

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ০৫ জুন ২০২০, ১৭:৫৩

আবারও হৃদয়বিদারক ঘটনার সাক্ষী হলো সিলেট। সরকারি-বেসরকারি চার হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেলেন সিলেটের এক কোটিপতি ব্যবসায়ী।

বিনা চিকিৎসায় তার মৃত্যুতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে শুরু করে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ ক্ষোভ ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কেউ কেউ বলেছেন, বিনা চিকিৎসায় আর যেন কেউ মারা না যান।

শুক্রবার (০৫ জুন) ভোরে বিনা চিকিৎসায় মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি বন্দরবাজারের ব্যবসায়ী আরএল ইলেকট্রনিকসের স্বত্বাধিকারী সিলেট নগরের কুমারপাড়ার বাসিন্দা ইকবাল হোসেন খোকা (৫৪)।

এর আগে গত ১ জুন সিলেট নগরের ছয় হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে মারা যান নগরের কাজিরবাজার মোগলটুলা এলাকার (বাসা এ/৫) লেচু মিয়ার স্ত্রী মনোয়ার বেগম (৬৩)। মারা যাওয়া ওই নারী অ্যাজমাজনিত রোগের কারণে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। ওই হৃদয়বিদারক ঘটনার চারদিনের মাথায় একই ধরনের নির্মম মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো।

প্রথম মৃত্যুর ঘটনার পর স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোকে সতর্ক করে চিঠি দেয়া হলেও আবারও ঘটলো প্রায় একই ঘটনা।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মৃত ইকবাল হোসেনের ছেলে তিহাম হোসেন বলেন, আমার মতো অন্য কেউ যেন তার বাবাকে বিনা চিকিৎসায় না হারান।

তিহাম হোসেন বলেন, কোটি টাকা খরচ দেব বলেছি; বাবার চিকিৎসা করতে চিকিৎসকদের কাছে মিনতি করেছি। বলেছি; আমার বাবা শ্বাস নিতে পারছেন না। তাকে দয়া করে একটু অক্সিজেন দেন। কোনো হাসপাতাল চিকিৎসা দেয়নি। এমনকি এক বোতল অক্সিজেনও দেয়নি। এরকম ঘটনা যেন আর কারও সঙ্গে ঘটে বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিহাম।

কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে তিহাম হোসেন বলেন, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বাবার বুকব্যথা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তখন সোবাহানীঘাট এলাকার একটি হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য কল করি। অ্যাম্বুলেন্স বাসায় আসার পর দেখি, অক্সিজেন সিস্টেম ভাঙা। এ অবস্থায় রোগীকে সোবাহানীঘাটের ওই বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে বার বার তাদেরকে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করলেও রোগীকে রেখে নিয়মকানুন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যান তারা। একপর্যায়ে জানান তারা রোগীকে রাখবেন না, নর্থ ইস্ট হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। অনেক অনুরোধের পরও অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে দেননি তারা।

তিহাম বলেন, এরপর বাবাকে নিয়ে দক্ষিণ সুরমার নর্থ ইস্ট হাসপাতালে যাই। সেখানে গেলে কর্তৃপক্ষ জানায় তাদের হাসপাতালে সিট নেই, রোগীর চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয়। তখন পরিচিত এক চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি পরামর্শ দেন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে যাওয়ার জন্য।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও