যেমন হবে চলমান সংকট থেকে উত্তরণ পরিকল্পনা
মহামারী অনেকটা যুদ্ধের সময় বোমাবর্ষণের মতো ধ্বংসাত্মক ঘটনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, এক্ষেত্রে অর্থনীতির সমতাসাধন মূলত বাহ্যিক শক্তি দ্বারা ঘটে। তাই করোনা-পরবর্তী এমনটা ঘটার বিষয়টি আমরা আশা করতেই পারি (অবশ্য নিকট ভবিষ্যতে যদি ভ্যাকসিন কিংবা চিকিত্সার কোনো উপায় আবিষ্কার না হয়, সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরো বেশি জটিল আকার ধারণ করবে, পরিচালনা কার্যক্রম ঘিরে প্রতিটি ব্যবসাকে পুনরায় চিন্তা করতে হবে)। মনে রাখা দরকার, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী অর্থনৈতিক রূপান্তর কিন্তু সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়া সম্ভব হয়নি। ইউরোপে মার্শাল প্ল্যান প্রয়োজনীয় পরিমাণে আমেরিকান অর্থায়ন এনে দেয়। যুদ্ধোত্তর চূড়ান্ত কেন্দ্রায়িত অর্থনীতির কারণে ভিয়েতনামের পক্ষে যখন যে খাতে প্রয়োজন হয়েছে, সেখানে সরাসরি অর্থায়ন সম্ভব হয়েছে। অন্য বৈশিষ্ট্যটি হচ্ছে, সংঘাত-পরবর্তী কোনো দেশে যদি শক্তিশালী সরকার ক্ষমতায় আসে, তবে তারা একটি শোভন মাত্রায় ন্যায্যতা উপভোগ করে (যদিও বেশ আলাদা রাজনৈতিক ব্যবস্থাসহ)।