কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

করোনার বাইরে অসংক্রামক ব্যাধির চিকিৎসা মারাত্মক ব্যাহত: ডব্লিউএইচও

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৩ জুন ২০২০, ০৮:৪৯

করোনাভাইরাসের মহামারির শুরু থেকেই বিশ্বজুড়ে অসংক্রামক ব্যাধি (ডায়াবেটিস, ক্যানসার, হৃদ্‌রোগ অথবা দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসতন্ত্রের রোগ ইত্যাদি) প্রতিরোধ ও চিকিৎসা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে এই পরিস্থিতি সবচেয়ে জটিল আকার ধারণ করেছে। ১৫৫টি দেশে পরিচালিত এক জরিপের ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটির মতে, এসব রোগের চিকিৎসা নিশ্চিত করা এখন বড় চ্যালেঞ্জের।


সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গত সোমবার সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য তুলে ধরেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। এ সময় তিনি বলেন, এই মহামারির কারণে কিছু স্বাস্থ্যসেবা স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছে বিভিন্ন দেশ। গত মে মাসে তিন সপ্তাহজুড়ে জরিপটি পরিচালনা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর ফলাফল তুলে ধরে সংস্থাটির মহাপরিচালক বলেন, ১৫৫টি দেশের মধ্যে প্রায় ৫৩ শতাংশেই উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসাসেবা আংশিক বা পুরোপুরি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।


৪৯ শতাংশ দেশে ডায়াবেটিস ও এই সংশ্লিষ্ট জটিলতার চিকিৎসা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ৪২ শতাংশ দেশে ক্যানসার এবং ৩১ শতাংশ দেশে হৃদ্‌রোগজনিত জরুরি চিকিৎসাসেবা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আর দুই-তৃতীয়াংশ দেশে পুনর্বাসন সেবা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তামাক সেবন অসংক্রামক ব্যাধির অন্যতম একটি কারণ উল্লেখ করে তেদরোস আধানোম বলেন, করোনা মোকাবিলায় দেশগুলোর প্রচেষ্টা হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, যাতে অসংক্রামক ব্যাধির চিকিৎসাও পাওয়া যায়। তেদরোস আধানোম আরও বলেন, যেসব ব্যক্তির অসংক্রামক ব্যাধি রয়েছে, তারা করোনার সংক্রমণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার এবং মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বেশি। কিন্তু অসংক্রামক ব্যাধি রয়েছে এমন অনেক ব্যক্তিই এখন আর তাদের প্রয়োজনীয় ওষুধ বা চিকিৎসা পাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, প্রায় সব কটি দেশের ক্ষেত্রেই চিকিৎসাসেবা বাধাগ্রস্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হলো গণপরিবহন এবং স্বাস্থ্যকর্মীর সংকট।


স্বাস্থ্যকর্মীর সংকট দেখা দেওয়ার কারণ হলো, অনেককেই করোনার চিকিৎসায় কাজে লাগানো হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক এ দিন গণজমায়েত নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, এই মহামারির সময় গণজমায়েত সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়ানোর একটি উপলক্ষ হিসেবে পরিলক্ষিত হয়েছে। এ কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ব্যাপারে হালনাগাদকৃত নির্দেশিকা প্রকাশ করে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার ব্যাপারে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা নিয়েও এ দিন কথা বলেন তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস।


তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও জনগণের সঙ্গে দৃঢ়, সহযোগিতামূলক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে বিশ্ব দীর্ঘদিন ধরে উপকৃত হয়ে আসছে। দশকের পর দশক ধরে বৈশ্বিক স্বাস্থ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও জনগণের অবদান ও উদারতা অপরিমেয়। এর ফলে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্যে বিরাট পরিবর্তন এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একান্তভাবেই চায়, এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকুক।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও