কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সমস্যার সমাধানে ভবিষ্যৎ বাণিজ্য ই-কমার্স

বাংলা নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ০৩ জুন ২০২০, ০৮:২৯

করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি দেশীয় প্রেক্ষাপটে ই-কমার্স খাতগুলোর জন্য এনে দিয়েছে ব্যাপক সম্ভাবনা। একইসঙ্গে দেখিয়েছে নানামুখী সমস্যাও। আর এসব সমস্যার সমাধান করে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলেই দেশের ভবিষ্যৎ বাণিজ্য তথা কমার্স খাত হবে পুরোপুরি ই-কমার্স। করোনা পরিস্থিতিতেও কার্যক্রম পরিচালনা করে বিভিন্ন ই-কমার্স উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা দিচ্ছেন এমনই মতামত। করোনাকালীন ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা থেকে তারা বলছেন, নতুন নতুন সমস্যাগুলোর সমাধান করে সামনে আসা নতুন নতুন সম্ভাবনাগুলো সফলভাবে অর্জন করা সম্ভব। ভবিষ্যৎ সময়ে ব্যবসায়ী-গ্রাহকদের মধ্যে ই-কমার্স প্র্যাকটিস (সংস্কৃতি) ধরে রাখতে এবং এ খাতের আরও উন্নতি নিশ্চিত করতে এখনই নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার বলেন, এখানে একটা ত্রিমুখী বিষয় আছে। ই-কমার্সে নতুন গ্রাহকেরা যেমন আসছেন তেমনি তাদের আস্থা রাখতে ই-কমার্সগুলোকে নানামুখী ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদের কাছে ই-কমার্সকে আরও আকর্ষণীয় করা, গ্রাহকদের বিভিন্ন অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি করা, রিটার্ন-রিফান্ড পলিসি আরও সহজ করার মতো কাজগুলো করতে হবে। মোট কথা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোকে আরও গ্রাহকবান্ধব হতে হবে। আবার গ্রাহকদেরও ব্যবসায়ীদের দিকটা দেখতে হবে। এসব কিছুর পর পুরো বিষয়টিতে দরকার সরকারের নীতিগত সাহায্য।

দেশীয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম প্রিয়শপডটকমের প্রধান নির্বাহী আশিকুল আলম খান বলেন, ই-কমার্স একটি ইকো-সিস্টেম। এ সিস্টেমই লকডাউনের সময়ে ই-কমার্সকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সাহায্য করেছে। সাপ্লায়ারদের প্রতিদিন কার্যক্রম বেশি সময় ধরে চালু রাখা, ডেলিভারি ম্যান-রাইডারদের চাহিদা, দেশের আনাচে-কানাচে পণ্য পৌঁছানোর সক্ষমতার মতো বিষয়গুলোর প্রয়োজনীয়তা আমরা এসময়ে বুঝতে পেরেছি। সরকার ইতোমধ্যে এটিকে জরুরি খাত হিসেবে ঘোষণা করেছে। এখন আমাদের পুরো ইকো-সিস্টেমকে আরও উন্নত করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

আরেক দেশীয় ই-কমার্সভিত্তিক মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি ডট কম ডট বিডির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল মনে করেন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমাধান হবে বিভিন্ন সমস্যার। রাসেল বলেন, আপনি যেদিন প্রথম অথবা নতুন পর্যায়ে গাড়ি চালান তখনই কী একটু স্পিডে চালাতে পেরেছিলেন? ই-কমার্সও ঠিক তেমনই। এমনিতেও আমাদের দেশে ই-কমার্স নতুন না হলেও একেবারে পুরাতনও না। আর কোভিড-১৯ করোনা তো সবার জন্যই নতুন ও ভিন্ন রকম একটা পরিস্থিতি। আমরা ব্যবসায়ীরা বা উদ্যোক্তারা বিভিন্ন রকমের সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে বিশ্লেষণ করে ব্যবসা পরিচালনা করি। কিন্তু এমন পরিস্থিতির জন্য কারোরই সেই পূর্বাভাস জানা ছিল না আর তাই প্রস্তুতিও ছিল না। কাজেই বিভিন্ন চাহিদা থেকেই তো এসব সমস্যার উৎপত্তি। সেসব চাহিদার কারণেই আবার এগুলোর সমাধান হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে সরকার শুরু থেকেই ই-কমার্সের গুরুত্ব অনুধাবন করে সময়োপযোগী সিদ্ধান্তই দিচ্ছেন। এটা অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশা করি। অন্যদিকে গ্রাহকদের আরও উন্নত সেবা দিতে ই-কমার্সগুলোর সঙ্গে পণ্য সরবরাহ করা লজিস্টিক পার্টনারদের মধ্যে একটি মেলবন্ধনেরও তাগিদ রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও