কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানোটাই অযৌক্তিক

বার্তা২৪ নিজামুল হক বিপুল প্রকাশিত: ০২ জুন ২০২০, ১৯:২৬

ক্ষুদ্র এক অণুজীবের কাছে পৃথিবীর মানুষ আত্মসমর্পণ করেছে। কোভিড-১৯ নামের প্রাণঘাতী ভাইরাসটি আমাদের দেশে শুধু মানুষের প্রাণই কেড়ে নিচ্ছে না, খেটে খাওয়া মানুষের পকেটও কাটতে শুরু করেছে।

আর পকেট কাটার আয়োজনটা করে দিয়েছে সরকারই। রাষ্ট্রের জনগণকে কোথায় একটু সুরক্ষা দেবে, সুযোগ সুবিধা দেবে, ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য রাস্তা বাতলে দেবে, অর্থনীতির চাকা সচল করতে সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়াবে, তা না করে উল্টো কীভাবে সাধারণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে বরাবর সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর পকেট ভারি করা যায়, সেই পথেই হাঁটছে আামাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থা, আমাদের সরকার।

এরই মধ্যে লকডাউন তুলে দিয়েছে, পৃথিবীর এ রকম কোনো দেশই গণপরিবহনের ভাড়া যেখানে এক পয়সাও বাড়ায়নি, সেখানে আমাদের দেশের চিত্র ঠিক তার উল্টো। পরিবহন ব্যবসায়ীরা সরকারকে জিম্মি করে লকাডাউন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে নিয়েছে। অথচ বৈশ্বিক মহামারির কারণে বৈরি পরিস্থিতিতে পৃথিবী জুড়ে জ্বালানি তেলের দামও ব্যারল প্রতি ২০ ডলারের নিচে নেমে এসেছে।

টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটির পর গত ৩১ মে থেকে সব কিছু খুলতে শুরু করেছে। সরকারি অফিস আদালত থেকে শুরু করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন সব কিছু। তবে গণপরিবহন চালুর ক্ষেত্রে একদিন পেছাতে হয়েছে। অর্থাৎ ১ জুন থেকে সারাদেশে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলতে শুরু করেছে। কিন্তু একদিন পেছানোর হেতু কী? হেতু হচ্ছে গণপরিবহনের ভাড়া পুনঃনির্ধারণ করা!

সরকারের একটা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। যাদের কাজ হচ্ছে গণপরিবহনের সমস্যা, সংকট দূর করা। বিশেষ করে সময়ে সময়ে গণপরিবহনের ভাড়া পুনঃনির্ধারণ করা। শব্দটি পুনঃনির্ধারণ না বলে সময়ে সময়ে ভাড়া ‘বৃদ্ধি’ বলাই ভালো। তারা এ কাজটি করেন পরিবহন মালিকদের ইচ্ছা ও মর্জি অনুযায়ী। জ্বালানি তেলের দাম, গ্যাসের দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ে। কতভাগ ভাড়া বাড়বে, সেটা অনেকটা আগে থেকেই নির্ধারণ হয়ে থাকে। মালিক পক্ষ একটা দাবি তোলে। সেই দাবি নিয়ে পরিবহন মালিক ও বিআরটিএ এর মধ্যে লোক দেখানো দরকষাকষি হয়। আলোচনা হয়। সেখানে একটি সিদ্ধান্ত হয় এবং সম্মতির জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রণালয় একটু এদিক-সেদিক করে উভয় পক্ষের নেয়া সিদ্ধান্তটাকে কিছুটা পরিবর্তন করে একটা প্রজ্ঞাপন জারি করে দেয়। এতে মালিকপক্ষ ভীষণভাবে খুশি হয়। কারণ তারা যে পরিমাণ ভাড়া বাড়াতে চেয়েছিলেন, সেই পরিমাণ ভাড়া বৃদ্ধি করেই মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হয়। এ নিয়ে কিছুদিন দেন দরবার চলে। গণপরিবহনের চালক ও শ্রমিকদের সঙ্গে যাত্রীদের বাকবিতণ্ডা হয়, কখনও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।

কিন্তু এবার এমন কী ঘটল যে গণপরিবহনের ভাড়া একেবারে শতকরা ৬০ ভাগ বাড়িয়ে দিতে হবে? ৩১ মে থেকে গণপরিবহন চলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২৯ মে বলেন, তার আগে বিআরটিএ ও পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও ফেডারেশন নেতারা বসে ভাড়া নির্ধারণ করবেন। ৩০ মে বিআরটিএ এবং মালিক, শ্রমিক ও ফেডারেশন নেতাদের মধ্যে বৈঠক শেষে বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. ইউছুব আলী মোল্লা জানান, তারা ৮০ শতাংশ বাড়া বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন। এখন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দেবে। এর কারণ হিসেবে তিনি যুক্তি দেখিয়েছেন, করোনার কারণে গাড়িগুলোকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করতে হবে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে তারা ৮০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর এ সুপারিশ করেছেন। যদিও মালিক পক্ষ দাবি জানিয়েছিল ভাড়া শতভাগ বৃদ্ধি করার জন্য।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও