কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

তপন শিকদার: প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি

ঢাকা টাইমস শাহিদুল হাসান খোকন প্রকাশিত: ০২ জুন ২০২০, ১৯:০১

পশ্চিম বাংলায় ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপির গেরুয়া ঝান্ডা যারা তুলেছিলেন তাদের অন্যতম প্রাণপুরুষের নাম তপন শিকদার। বাংলার বিজেপি প্রতিষ্ঠায় যে কজন রাজনীতিবিদের নাম উঠে আসে তপন শিকদার তারমধ্যে শ্রেষ্ঠজন এটা তার শত্রুরাও স্বীকার করেন। বাংলা বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক থেকে কেন্দ্রের সম্পাদকও হয়েছিলেন তিনি। হয়েছিলেন ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। ওপার বাংলার নামে কীর্তিমান এই মানুষ পরিচিতি পেলেও তিনি আমাদের এপার বাংলার সন্তান। আমার জন্মস্থান মাগুরার মহম্মদপুরে জন্ম এই ক্ষণজন্মা রাজনীতিবিদের। আজ তপন বাবুর প্রয়ান দিবস। প্রয়ান দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশের মানুষের কাছে একজন বাংলাদেশ প্রেমী তপন শিকদারকে তুলে ধরতেই এই লেখা।

তপন শিকদারের জন্ম অধুনা বাংলাদেশের যশোর জেলার (বর্তমান বাংলাদেশের মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার) বসুর ধূলজুরি গ্রামে৷ তাঁর পিতা ধীরেন্দ্রনাথ শিকদার ছিলেন একজন মানবিক চিকিৎসক৷ তপন বাবুর পড়াশুনার হাতেখড়ি হয়েছিল গ্রামের পাঠশালায়। এখন ৪৩ নং উত্তর কুঠিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুলটির নাম। এখানকার পাল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পযন্ত পড়েছিলেন তিনি।দেশ ভাগের পর তপনবাবুর পরিবার চলে যান পশ্চিম বাংলার মালদহের বুলবুলচণ্ডীতে৷ মালদহ কলেজ থেকে বি.কম পড়ার সময়ে ছাত্র রাজনীতিতে হাতে খড়ি। স্নাতক হওয়ার পর উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি কলকাতায় যান। এই সময় থেকেই জনসঙ্ঘের দৈনন্দিন কার্যকলাপের সঙ্গে পুরোপুরি জড়িয়ে পড়েন তিনি। সেই সূত্রে ১৯৬৯ সালে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থেকে নির্বাচিত জনসঙ্ঘের বিধায়ক প্রফুল্ল সরকারের ব্যক্তিগত সহায়ক হন তপন শিকদার। জরুরি অবস্থার সময় অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের মতো আত্মগোপন করেছিলেন তপনবাবু৷ জরুরি অবস্থার পর ১৯৭৭ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তিনি।

কলকাতার বিদ্যাসাগর কেন্দ্র থেকে জনতা পার্টির টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়ে পরাজিত হন। ১৯৮০ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি প্রতিষ্ঠার সময় তপনবাবু এই রাজ্যে দলের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হন। কাধে থলে ভর্তি বই নিয়ে পায়ে হেটে, বাসে চড়ে, ট্রেনে ঝুলে রাজ্যে নেমে পড়েন দলের সাংগঠনিক কাজে। তৎকালিন ম জমানায় বৈরিতার সাথে যুদ্ধ করে বাংলায় যাত্রা করান বিজেপির রাজনৈতিক ট্রেন। তার এই ত্যাগের স্বীকৃতিও দেয় তার দল।

১৯৯৫ সালে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক হন নির্বাচিত হন তিনি। হয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতিও। বছর কয়েক ধরে তপনবাবুর সঙ্গে দলের রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মনোমালিন্য হয়। সেই সময় দলের সঙ্গে তাঁর কিছুটা দূরত্বও তৈরি হয়। শুনেছি, বিজেপিতে স্যুট-বুট পড়া নেতৃত্ব আর বাংলায় কট্টর হিন্দুত্ববাদ পন্থায় কখনও সায় ছিল না তপন বাবুর। এসব নিয়েই ছিল তাঁর নানা আপত্তি। শুনেছি উনার বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ভুল স্বীকার করায় পরে ফের তিনি রাজ্য বিজেপির রাজনীতিতে ফিরে আসেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও