কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ভাড়া না বাড়িয়ে যেভাবে গণপরিবহন পরিচালনা করা যেতো

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ০১ জুন ২০২০, ২৩:৪৪

করোনা মহামারির মধ্যে সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। তবে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার কারণ দেখিয়ে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। রবিবার (৩১ মে) এই বর্ধিত ভাড়ার প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।এরইমধ্যে এই ভাড়া নিয়ে সাধারণ যাত্রী ও গণপরিবহন বিশেষজ্ঞরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, বর্তমানে ভাড়া বাড়িয়ে গণপরিবহন পরিচালনার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা অযৌক্তিক। এটি দেশের সাধারণ নাগরিকদের জন্য মরার ওপর খাড়ার ঘা ছাড়া আর কিছুই নয়।

সাবরিনা মুস্তারী নামে বাসে যাতায়াতকারী এক কর্মজীবী নারী মন্তব্য করেন, গত তিন মাস ধরে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি চলাকালে দেশের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার অজুহাতে ঠিকমতো বেতন-ভাতা পরিশোধ করেনি, ঈদে বোনাস দেয়নি। এ অবস্থায় পকেট খালি হওয়া সাধারণ মানুষ জীবনবাজি রেখে কাজের জন্য ঘর থেকে বের হতে গিয়ে কী করে অতিরিক্ত বাসভাড়া দেবেন সেটা মোটেও ভাবা হয়নি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেখানে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে একের পর এক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেই যাচ্ছেন সেখানে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও জ্বালানি তেলের দাম না কমিয়ে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি গণমানুষের সঙ্গে সরকারের প্রতারণারই শামিল। সরকারের অন্য কর্মসূচিগুলোরও পুরো বিপরীত। এখানে গণমানুষের স্বার্থ মোটেও বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।

পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গণপরিবহনের শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের নামে যে টাকা আদায় হয় তা বন্ধ করলেই মালিক ও যাত্রীদের ওপর অর্থনৈতিক চাপ কমবে। তাছাড়া এখন আগের মতো যানজটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে বসে থাকতে হচ্ছে না। তাই অতিরিক্ত জ্বালানিও ব্যয় হবে না।আর করোনার আগে সরকার নির্ধারিত যে ভাড়া ছিল সেই ভাড়ার চেয়েও পরিবহনগুলো অনেক বেশি ভাড়া আদায় করতো। এর ফলে নতুন করে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির কারণে তা আরও অনেক বেড়েছে।

তাদের দাবি, ২০১৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ও ২০১৬ সালের ৩ মে সরকার আন্তঃনগর ও দূরপাল্লায় চলাচলকারী বাস মিনিবাসের যে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে সেটাও অনেক বেশি ছিল। তা নিয়েও তখন যাত্রী অধিকার সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো প্রতিবাদ জানিয়েছে।তাছাড়া ভাড়া বাড়ানোর সময় সংশ্লিষ্ট কমিটি একটি বাসের ২০ শতাংশ আসন ফাঁকা থাকবে সেই চিন্তা করেই ভাড়া নির্ধারণ করে থাকেন। এ হিসেব একটি ৫০ আসনের বাসে ১০টি সিট ফাঁকা থাকবে এটাই স্বাভাবিক।কিন্তু বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি এই ফাঁকা থাকা আসনের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ২৫টিতে দাঁড়াবে।

গণপরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণপরিবহনে দৈনিক যে হারে চাঁদা আদায় হচ্ছে সেটা বন্ধ করা গেলেই পরিবহন মালিকদের ব্যবস্থাপনা ব্যয় ও যাত্রীদের ওপর চাপ করতো। এটি নিয়ন্ত্রণ করা গেলে ভাড়া বাড়ানোর প্রয়োজন হতো না। এরইমধ্যে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোও চাঁদা আদায় না করার কথা জানিয়েছে। তাছাড়া আগে যে সময়ে একটি বাস যানজটের কারণে দৈনিক তিনটি ট্রিপ দিতে পারতো সেখানে এখন এগুলো দ্বিগুণেরও বেশি ট্রিপ দিতে পারবে। এতে পরিবহনের পরিচালনা বা জ্বালানি ব্যয় অর্ধেকে নেমে আসবে।অপরদিকে বিশ্ব বাজরে তেলের দাম কমেছে। সরকার চাইলে দেশে জ্বালানি তেলে দাম কমিয়েও পরিবহন ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারতো। প্রয়োজনে কিছুটা ভর্তুকিও ঘোষণা করা যেতো।

২০১৬ সালের ৩ মে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আন্তনগর ও দূরপাল্লা রুটে বাস/মিনিবাস চলাচলের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটার ১.৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ২০১৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরীতে চলাচলরত বাস ও মিনিবাসের সর্বোচ্চ ভাড়া প্রতি কিলোমিটার ১.৭০ এবং ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ১.৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর পরিবহনের সর্বনিম্ন ভাড়া ঢাকার জন্য ৭ টাকা ও চট্টগ্রামের জন্য ৫ টাকা ধার্য করা হয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত