মমতার চাপে আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকের পদত্যাগ
কলকাতাভিত্তিক ভারতের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদক অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগের ঘটনার আগে তাকে কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায় ডেকে নিয়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। খবর ডয়েচেভেলে। সূত্রের বরাতে ডয়েচেভেলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত এপ্রিলে বাংগুর হাসপাতাল নিয়ে একটি সংবাদকে কেন্দ্র করে করা এফআইআরের ভিত্তিতে তাকে ডাকা হয়েছিল থানায়।
বর্তমানে বার্তা সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা ঈশানী দত্ত রায় পত্রিকাটির নতুন সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এর আগে টুইট করে জানান, ‘আমি স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে জানতে চেয়েছি, কেন সম্পাদক অনিবার্ণকে পুলিশ নোটিশ পাঠিয়েছে? সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে কোনো আলোচনা চলতে পারে না। এটা গণতন্ত্রের মেরুদণ্ড এবং সংবিধান স্বীকৃত।’
তার ওই টুইটের পর জানা যায় ওই সম্পাদককে ছয় ঘণ্টা ধরে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে পুলিশ সূত্র জানাচ্ছে অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায় একটা চিঠি দিয়ে পুলিশকে জানান তিনি প্রবীণ নাগরিক। করোনার সময়ে তাকে প্রকাশ্য স্থানে যেতে চিকিৎসকরা মানা করে দিয়েছেন। আনন্দবাজারের মতো সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা দৈনিকের সম্পাদককে একটা খবরের ভিত্তিতে থানায় ডেকে পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তা অভিযোগ করার ৫০ দিন পর। আরও প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি করোনা ও আম্ফান পরবর্তী সময়ে সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধের চেষ্টা চলছে? তবে আনন্দবাজার পত্রিকার ঘটনাটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।