সীমিত আকারে চালু হওয়া লঞ্চ যাত্রীতে টইটম্বুর
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে টানা ৬৬ দিন বন্ধের পর বরিশাল-ঢাকা নৌপথে সীমিত আকারে চালু হয়েছে লঞ্চ চলাচল। তবে প্রথম দিনই বরিশাল থেকে ঢাকাগামী লঞ্চগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী লঞ্চে ওঠার আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা থাকলেও ভেতরে মানা হয়নি সামাজিক দূরত্ব।
লঞ্চের ডেকে একজনের শরীরের সঙ্গে আরেকজনকে ঘেঁষে বসে থাকতে দেখা গেছে। এ সময় অনেকেই মাস্ক পরেননি। যাত্রীদের চাপ বেড়ে গেলে বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তাদের নির্দেশে নির্ধারিত সময়ের প্রায় দেড় ঘণ্টা আগেই লঞ্চগুলো ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এর আগে বিকেল ৫টার পর থেকে লঞ্চমুখী যাত্রীদের ঢল নামে।
দলে দলে মানুষ আসতে থাকে লঞ্চঘাটে। সন্ধ্যার পর ঘাটে নোঙর করে থাকা তিনটি লঞ্চ যাত্রীতে টইটম্বুর হয়ে যায়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চগুলোতে যাত্রী তোলা হচ্ছে কি-না তা তদারকির জন্য বিকেল থেকে লঞ্চঘাটে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান।
এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ থানা-পুলিশের সদস্যরা কিছুক্ষণ পরপর মাইকে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। যাত্রীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লঞ্চে উঠতে অনুরোধ করেছেন তারা। তবে যাত্রীদের সেদিকে কোনো খেয়াল ছিল না। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান বলেন, চাপ বেশি থাকায় কিছু যাত্রীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।