কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ত্রাণ দুর্নীতিতে সাময়িক বরখাস্ত জনপ্রতিনিধিরা কে কোন দলের

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২০, ২১:২৪

করোনাভাইরাস সংক্রমণকালে বিভিন্ন অভিযোগে গত ২৯ মে পর্যন্ত ৭৩ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এদের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের ২৩ জন চেয়ারম্যান, ৩৭ জন সদস্য, ৯ জন ইউপির সংরক্ষিত আসনের সদস্য, উপজেলা পরিষদের একজন ভাইস চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের একজন সদস্য এবং দুই জন পৌরসভার কাউন্সিলর রয়েছেন।

বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এসব জনপ্রতিনিধির বরখাস্ত হওয়ার পেছনে মোটা দাগে ৬ ধরনের কারণ রয়েছে। এরমধ্যে বেশিরভাগই অর্থাৎ ৬৭ জন বরখাস্ত হয়েছেন কর্মহীন, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণের চাল ও নগদ অর্থ বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং ভিজিএফ ও ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়। এর বাইরে দুইজন ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত হয়েছেন ‘করোনা প্রাদুর্ভাবের সময়ে’ সরকারের অনুমতি না নিয়ে বিদেশ যাওয়ায়। একজন ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত হন ত্রাণ চেয়ে সরকারি হট লাইন ৩৩৩ নম্বরে এক গ্রামবাসী ফোন দেওয়ায় তাকে বেধড়ক মারধরের কারণে। আরেক ইউপি সদস্য বরখাস্ত হন করোনার সময় চিকিৎসাসেবায় বাধা দেওয়ার অভিযোগে। একজন করোনার সময় নিজ এলাকায় থাকার নোটিশ পেয়েও অনুপস্থিত থাকায় সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। তবে একজন ইউপি সদস্য বরখাস্ত হন একবারেই ভিন্ন কারণে। করোনাকালে লোক সমাগম নিষেধ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা থাকলেও সরকারি এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিপুল জনসমাগম ঘটিয়ে ষাঁড়ের লড়াইয়ের আয়োজন করে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন তিনি।

এদিকে ত্রাণ চুরি বা বিতরণে অনিয়মে এসব জনপ্রতিনিধি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন বা দুদকের দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন এদের অনেকেই। কেউ কেউ ঘটনার পরপরই চলে গেছেন আত্মগোপনে।

বিভাগভিত্তিক সাময়িক বরখাস্তদের সংখ্যা

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরখাস্ত হওয়া এসব জনপ্রতিনিধির মধ্যে ৫৩ জন আওয়ামী লীগের, ১৪ জন বিএনপির, একজন ওয়ার্কার্স পার্টির ও ৫ জন স্বতন্ত্র। আবার বরখাস্তের খাতায় আওয়ামী লীগের তালিকাভুক্ত যেসব জনপ্রতিনিধি তাদের অনেকেই নির্বাচনের সময় নৌকা প্রতীক কিংবা সদস্য পদে দলের সমর্থন না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এদের অনেকেই এখনও মূলদল বা অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পদের দায়িত্বে রয়েছেন। আবার অনেকের দল থেকে পদ চলে গেলেও এখনও দলীয় পরিচয়েই চিহ্নিত তারা। তবে পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর দল থেকেও অনেককে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ই তালিকায় আবার এমন কিছু জনপ্রতিনিধি আছেন যারা ভিন্ন দল থেকে এই সরকারের গত গত দুই মেয়াদের শাসনামলে আওয়ামী লীগে ভিড়েছেন। অবশ্য ত্রাণ চুরির অভিযোগে মন্ত্রণালয় থেকে বরখাস্তের সঙ্গে সঙ্গে তারা দল থেকেও বহিষ্কার হয়েছেন।

অন্যদিকে, ইউপি নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রতীকে অংশ নেয়নি। তবে দলের কিছু বিদ্রোহী নেতা তখন অংশ নিয়ে জয়লাভ করেন। বরখাস্তের তালিকায় উল্লিখিত ১৪ জনই সে হিসেবে বিএনপির দলীয় বিদ্রোহী।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও