কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘রেস্তোরাঁ পুড়ে যাক, তবু ন্যায়বিচার চাই’

প্রথম আলো প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২০, ১৫:৫২

একটা দুঃসংবাদ শুনে সকাল ছয়টার দিকেই ঘুম ভেঙে যায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণী হাফসা ইসলামের। মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনেপোলিস শহরে তাঁদের রেস্তোরাঁ ব্যবসা। গান্ধী মহল নামে বাংলাদেশি-ইন্ডিয়ান ওই রেস্তোরাঁ বিক্ষোভকারীদের দেওয়া আগুনে পুড়ে গেছে। পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস ওই রেস্তোরাঁ পুড়ে যাওয়ার সংবাদে বুকের ভেতর ধক করে ওঠে। চোখের সামনে চারপাশ অন্ধকার হয়ে যায় হাসফার। রাগে কান-মাথা ঝাঁ ঝাঁ করতে লাগল। কী করবে এখন?

কিন্তু এই রাগে নিমেষে জল ঢেলে দিলেন তাঁর বাবা, রেস্তোরাঁর মালিক বাংলাদেশি রুহেল ইসলাম। বুকে পাথর চেপে তিনি বললেন, ‌‘যদি ন্যায়বিচারের দাবিতে এই বিক্ষোভ হয় আর সেই বিক্ষোভে আমার রেস্তোরাঁ পুড়ে যায়, তবে যাক। তবু আমরা ন্যায়বিচার চাই।’

বাংলাদেশি এই রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৫ মে মিনেপোলিস শহরে পুলিশের নির্যাতনে জর্জ ফ্লয়েড (৪৬) নামের একজন কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যু হয়। ফ্লয়েড একজন সাবেক বাস্কেটবল খেলোয়াড়। শ্বেতাঙ্গ একজন পুলিশ সদস্য ফ্লয়েডকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন বলে অভিযোগ। ওই পুলিশ সদস্যকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কিন্তু এই ঘটনার প্রতিবাদে আমেরিকার নানা শহরে বিক্ষোভ হচ্ছে। ওই বিক্ষোভ চলাকালে ২৮ মে রুহেল ইসলামের গান্ধী মহল নামে রেস্তোরাঁটিতে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। এরপরও ন্যায়বিচারের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে আহত বিক্ষোভকারীদের প্রাথমিক শুশ্রূষা দেওয়া থেকে শুরু করে নানা সহযোগিতা করছে তারা। জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অনেকে আহতও হয়েছেন।

নিজেদের রেস্তোরাঁ পুড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে ১৮ বছর বয়সী হাফসা ইসলাম নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ‘খবরটা শুনে শুরুতে খুব রাগ হয়েছিল। কারণ, এটাই আমাদের পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস।’ তিনি বলেন, ‘পরে দেখি বাবা (রুহেল ইসলাম) ফোনে তাঁর কোনো এক বন্ধুকে বলছেন, “‘আমার রেস্তোরাঁ পুড়ে যাক, তারপরও ন্যায়বিচার চাইতে হবে”, এ কথা শোনার পর রাগ কমে গেছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, আগুনে পুড়ে যাওয়া রেস্তোরাঁ দেখেও রুহেল ইসলামের পরিবার বলেছে, রেস্তোরাঁ আপাতত বন্ধ থাকবে। তারপরও তারা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আছে। যে বিক্ষোভকারীদের দেওয়া আগুনে পুড়ে গেল তাদের আয়ের প্রধান উৎস, সেই বিক্ষোভকারীদেরই পাশে দাঁড়াল বাংলাদেশি ওই পরিবার।

এ বিষয়ে ৪২ বছর বয়সী রুহেল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আবার একটি ভবন নির্মাণ করে ব্যবসা করতে পারব, কিন্তু আমরা কোনো মানুষকে আবার নতুন করে তৈরি করতে পারব না। আমাদের কমিউনিটি রয়েছে। আমরা সবাই পুনর্নির্মাণে একসঙ্গে কাজ করে যাব।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও