কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

করোনাকালে কুকুর-বিড়ালের খাবারের বন্দোবস্ত করেন তাঁরা

প্রথম আলো প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২০, ২২:৪৮

প্রথমে শুধু চাল ও ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়াতেন, পরে এর সঙ্গে মুরগির মাথা ও পা দিয়ে রান্না শুরু হলো। খড়ি সংগ্রহ করে চলছিল রান্নার কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক গ্যাসের চুলার ব্যবস্থা করে দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য, প্রক্টরসহ অন্য শিক্ষকেরাও চাল-ডাল কিনে দিতে শুরু করেন। সাবেক, বর্তমান শিক্ষার্থীরাও এই কাজকে উৎসাহ দিতে সাহায্য পাঠাচ্ছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীর নেওয়া উদ্যোগের নাম এখন ‘ক্যাম্পাস পোষা প্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্প’। এই প্রকল্পের মাধ্যমে করোনার দুঃসময়ে ক্যাম্পাসের অভুক্ত কুকুর-বিড়ালদের খাবারের ব্যবস্থা হয়েছে। গত ২৯ মার্চ এই উদ্যোগের শুরু হয়েছিল। এখন চলছে ৫৬তম দিন। এর মধ্যে এক দিন ছিল ঈদ। সেদিনও ওদের খাওয়ানো বাদ যায়নি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কুকুর-বিড়াল-প্রকৃতির সঙ্গেই তাঁরা ঈদ উদ্‌যাপন করেন।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গত ১৮ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেল। সেদিনই ক্যাম্পাসের সব খাবারের দোকানও বন্ধ হয়ে যায়। এর কয়েক দিন পর আশপাশের খাবার দোকানও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ক্যাম্পাসে থাকা কয়েক শ কুকুরকে না খেয়ে থাকতে হয়। এই অপ্রত্যাশিত ছুটিতেও ক্যাম্পাসের কয়েকজন শিক্ষার্থী রয়ে গেলেন। কয়েক দিনের মধ্যে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখলেন, কুকুরগুলো ক্ষুধায় খুব কষ্ট পাচ্ছে। অভুক্ত কুকুরদের জন্য খাবার নিয়ে এগিয়ে এলেন দুজন শিক্ষার্থী।

ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের প্রসেনজিৎ কুমার এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মাহমুদ সাকী। তাঁদের এই কর্মকাণ্ডকে ভালোবেসে একে একে আরও যোগ দিলেন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের তুষার সরকার, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের ইসতিয়াক মাহমুদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের রাকিবুল হাসান এবং ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের তামির হোসেন। তামিরের বাড়ি আফ্রিকার দেশ সোমালিল্যান্ডে। শিক্ষার্থীরা জানান, তাঁরা গত ২৯ মার্চ থেকে ক্যাম্পাসে কুকুরগুলোকে প্রথমে খাবার দেওয়া শুরু করেছিলেন, সে সময় তাঁরা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খাবার দিতেন। পরে এক সপ্তাহ পর থেকে তাঁরা সন্ধ্যার পর খাবার দেওয়া শুরু করেন। প্রথমে এক শর মতো কুকুর থাকলেও খাবার পেয়ে আশপাশের কুকুরও ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করে।

এই কুকুরগুলোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ক্যাম্পাসের বিড়ালগুলোকেও খাবার দিয়ে যাচ্ছেন। গত সোমবার (২৫ মে) ঈদের দিন বিকেলে ক্যাম্পাসের রাকসু ভবনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিনের মতো রান্না চলছে। ১০ কেজি চালের সঙ্গে ৫ থেকে ৬ কেজি মুরগির পা ও মাথা। পাশেই স্থানীয় ইসতিয়াক মাহমুদের বাড়ি থেকে আনা ঈদের খাবার খাচ্ছিলেন অন্যরা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও