কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

শর্তসাপেক্ষ মুক্তি: পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সক্রিয় খালেদা জিয়া

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২০, ২১:৫৪

এ বছরের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পান বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি এই সুযোগ পাবেন। তবে এরপর নির্বাহী আদেশ বাতিল হলে কারাগারেই ফিরে যেতে হবে, নাকি তিনি এই আদেশের সময়সীমা আরও বাড়ানোর আবেদন করবেন— এ নিয়ে কাজ শুরু করেছেন বিএনপির প্রধান নিজেই। ইতোমধ্যে দলের একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ সংক্রান্ত আলোচনা করেছেন এবং নির্দেশনা দিয়েছেন আইনি দিকটি পর্যালোচনা করতে। বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, গত ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার মুক্তি হওয়ায় আবারও এই পদ্ধতিতেই যেতে হবে তার পরিবারকে। সরকারের পক্ষ থেকে মুক্তির সময়সীমা বাড়ানো হবে কিনা, তাও আবেদনের মধ্য দিয়ে নিশ্চিত হতে হবে। করোনাভাইরাসের এই বিশেষ পরিস্থিতি যদি আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনিশ্চিতই থাকে, সেক্ষেত্রে আবেদন বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারি উদ্যোগেই করতে পারবে, এমনটি মনে করছে সূত্র। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তি হলেও তার চিকিৎসার বিষয়ে খুব একটা উন্নতি নেই— এ কথা জানিয়ে ওই সূত্রের দাবি, করোনাভাইরাসের কারণে পরিস্থিতি ভিন্ন থাকায় এখনও কোনও হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব হয়নি তার। সে কারণে এখনও চিকিৎসার বিষয়টিকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। সেদিক থেকে ছয় মাস সময় পার হলেও প্রথমত তার সুচিকিৎসার কাজটিই অগ্রগণ্য থাকবে।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘যে কারণে ম্যাডামকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সে কারণ এখনও রয়েছে। করোনার কারণে ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়নি। তার চিকিৎসা সম্পূর্ণ হয়নি। স্বাভাবিক কারণে প্রয়োজনেবোধে আবারও সরকার সময় বৃদ্ধি করতে পারে মানবিক কারণে। তবে এটার জন্য আবেদন করতে হবে। যেহেতু তার মুক্তির প্রক্রিয়াটি নির্বাহী আদেশে হয়েছে, সে কারণে আবারও আবেদন করার মধ্য দিয়ে সময় বাড়ানোর অনুরোধ করতে হবে।’

বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে জানায়, গত ২৫ মে ঈদের দিন খালেদা জিয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় দেড়ঘণ্টা প্রত্যেকের সঙ্গে আন্তরিক পরিবেশে কথা বলেন তিনি। নিজের শারীরিক সমস্যা, একা কিছুই করতে না পারা, খাবার-দাবারের সমস্যাসহ স্বাস্থ্যগত বিষয়ে তাদেরকে জানান খালেদা জিয়া। ঈদের পরদিন (২৬ মে) রাতে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। সেই সাক্ষাতেও খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতির বিষয়টিই মুখ্য ছিলো। একই রাতে সাক্ষাৎ করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

দলের স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানান, দুই বছর পর কারাগার থেকে বেরোনোর পর দলীয় প্রধানের সঙ্গে সৌজন্যমূলক আলোচনাই বেশি হয়। তবে এরইমধ্যে সময় দুই মাস পার হয়েছে। এ কারণে নিজেও পরবর্তী ধাপ বা পদক্ষেপ নিয়ে ভাবছেন তিনি। এর আগে, ১১ মে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই আলাপেও তার আইনি বিষয়টি উঠে আসে, এমন ইঙ্গিত দেন বিএনপির সিনিয়র এই নেতা।

২৬ মে রাতে প্রায় এক ঘন্টা খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে ম্যাডামের প্রায় একঘণ্টা সময় কথা হয়। সৌজন্যমূলক কথাবার্তা। তিনি করোনাভাইরাস নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। আর তাই আইনি বিষয়ে যেটি হচ্ছে, তিনি মুক্তি পেয়েছেন মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে। সেক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের কারণে তো সবই বন্ধ। তার যে পরীক্ষাগুলো দরকার সেগুলোও আমরা করাতে পারছি না। এ কারণে ট্রিটমেন্টই গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকটি আঙুল বাঁকা হয়েছে আছে, কোমরে ব্যথা, হাঁটতে পারছেন না। যখনই সম্ভব হবে আগে তার উন্নত চিকিৎসা করানো হবে।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও