কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

অনলাইন কেনাকাটা চার গুণ বেড়েছে

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২০, ১১:৫৪

ফারিয়া ফারুক চৌধুরী (৩১) বসবাস করেন রাজধানীর শ্যামলীর খিলজি রোডে। স্মার্টফোন ব্যবহারে পারদর্শী এই গৃহিণী অনলাইনে কেনাকাটা করেন। চাল, ডাল, সবজি, মাছ-মাংস, দুধ, গৃহস্থালি পণ্য ঘরে বসেই কিনে ফেলেন। ঈদের কয়েকটি দরকারি পণ্য তিনি অনলাইনে কিনেছেন। নগদ অর্থের লেনদেন না করে পণ্যের বিলও পরিশোধ করেছেন ক্রেডিট কার্ডে।

করোনা মহামারির সংক্রমণ থেকে পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে তিনি স্বামীকে বাজারে না পাঠিয়ে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন। ফারিয়ার মতো অসংখ্য নারী-পুরুষ এখন অনলাইনেই সেরে নিচ্ছেন দরকারি কেনাকাটা। করোনা সংক্রমণ কমাতে দেশের বড় বড় শপিং মল ও মার্কেটগুলো বন্ধ থাকায় এবার ঈদের কোনাকাটায় প্রধান ভরসা হয়ে ছিল অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো। এতে ই-কমার্স খাতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় পণ্যের অর্ডার বেড়েছে চার গুণের বেশি। এ ছাড়া মুদি পণ্যে পাঁচ গুণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশের শীর্ষ ই-কমার্স কম্পানিগুলো। একই সঙ্গে করোনাভাইরাসের পর ডিজিটাল মাধ্যমে পেমেন্টের হার ছিল ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। বর্তমানে ডিজিটাল মাধ্যমে পেমেন্টের হার বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। তবে লকডাউনের কারণে বিক্রেতা ও ডেলিভারি কর্মীর সংকট না থাকলে আরো প্রবৃদ্ধি হতো বলে জানা গেছে।

দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলো অনলাইনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়াও পোশাক, পাদুকা, ইলেকট্রনিক পণ্য, মোবাইল ফোনসেট বিক্রি করছে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের একটি অংশ টিকে থাকার জন্য অনলাইনকে বেছে নিয়েছে। দেশের শীর্ষ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো রমজান ও ঈদের কেনাকাটার অর্ডারে ব্যাপক উত্থান দেখতে পাচ্ছে। যদিও ডেলিভারি সমস্যার কারণে তারা সব অর্ডার নিতে পারছে না। চালডাল, দারাজ, আজকের ডিল, বাগডুম, প্রিয় শপ, রকমারি, পিকাবু, অথবা, ই-ভ্যালি, বিক্রয়সহ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো পণ্য বিক্রির পাশাপাশি বিক্রেতাদেরও বিনা মূল্যে অনলাইনে দোকান খোলার সুযোগ করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে সফটওয়্যার রপ্তানিকারকদের সংগঠন বেসিসের সাবেক সভাপতি ও ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস আজকের ডিল ডটকমের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চলতি মাসে ই-কমার্সে পণ্য বিক্রির পরিসর বাড়ানোর ফলে আমরা ভালো প্রবৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি। ঈদে ব্যাপক চাহিদা এসেছিল’ কিন্তু আমরা সব অর্ডার নিতে পারিনি। এ সময় ৬০ শতাংশ অর্ডার বেড়েছে। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে উপজেলা পর্যায় থেকেও আমরা প্রচুর অর্ডার পেয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে যানবাহন বন্ধ থাকায় পণ্য পৌঁছানো যাচ্ছে না। এ কারণে বেশ কিছু অর্ডার বাতিল করতে হয়েছে।’

করোনার মধ্যে গত এক মাসে আড়াই লাখ অর্ডার ডেলিভারি দিয়েছে চালডাল ডটকম। এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা জিয়া আশরাফ বলেন, ‘করোনার এই সংকট সময়ে আমরা দেশের মানুষের পাশে থাকতে পেরে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সাপ্লাই চেইন সচল রাখতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। পোস্ট অফিসের গুদামসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ওয়্যারহাউস সুবিধা বাড়ানো গেলে আরো বেশি মানুষকে সেবা দেওয়া সম্ভব।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও