‘যারা সেরে উঠছেন প্লাজমা ডোনেট করেন, প্লিজ’
করোনাভাইরাসের ছোবলে বিশ্বব্যাপী প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।ছোট্ট এই অণুজীব পুরো বিশ্বকেই যেনো অচল করে দিয়েছে। করোনা ভাইরাসের কোন টিকা এখন পর্যন্ত আবিস্কার না হলেও করোনার চিকিৎসায় আশার আলো দেখাচ্ছে ‘ব্লাড ট্রান্সফিউশন’ পদ্ধতি। অর্থাৎ করোনা ভাইরাস থেকে কোন মানুষ সেরে উঠলে তার শরীরেই তৈরি হয় করোনা অ্যান্ডিবডি। করোনা আক্রান্ত মানুষকে বাঁচাতে করোনাজয়ী মানুষদের প্লাজমা দিয়ে অন্য রোগীকে সেরে উঠতে সাহায্য করতে আহ্বান করলেন জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী।
ফারুকী বলেন, আপনি ভাবেন, আপনার দেয়া প্লাজমায় একজন বেঁচে উঠতেছে, একাকী গোরস্তানের দিকে রওনা না হয়ে যিনি রওনা দিচ্ছেন বাসার দিকে, তার কন্যারা আপনার দিকে তাকাইয়া কৃতজ্ঞতার হাসি দিচ্ছে, তাদের চোখের কোণায় পানি! অথবা আপনি যদি আমার মতো লাজুক হন, হয়তো তাদের সামনেই গেলেন না, দূর থেকে দেখলেন আশা ছেড়ে দেয়া মানুষগুলা বেঁচে যাওয়ার আনন্দে কি রকম হেসে হেসে উঠছে!’সাধারণত কোনও রোগে কেউ আক্রান্ত হয়ে সেরে উঠলে তার শরীরে সেই রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যায়।
তাই, ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পর সেরে ওঠা কোনও ব্যক্তির রক্তের প্লাজমা প্রথমে সংগ্রহ করা হয়। সেই প্লাজমা থেকে নানা প্রক্রিয়ায় সেরাম আলাদা করা হয়। ওই সেরামেই অ্যান্টিবডি থাকে। তা থেকে নানা রকম ভ্যাক্সিন তৈরি করা হয়।