করোনার নমুনা সংগ্রহে দেশেই তৈরি হচ্ছে ভিটিএম কিট
দেশেই তৈরি হচ্ছে কোভিড নাইন্টিনের নমুনা সংগ্রহে ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়া- ভিটিএম কিট। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডিআরআইসিএম-এর তৈরি কিটে আমদানি করা কিটের তুলনায় খরচ পড়বে অর্ধেক। এ কিট দিয়ে সহজে নমুনা সংগ্রহ, পরিবহন আর দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করা যাবে। তুলনামূলক সাশ্রয়ী ভিটিএম কিট উৎপাদন অব্যাহত রাখতে বলেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। লবণ, প্রোটিন আর অ্যান্টিবায়োটিকের সমন্বয়ে তৈরি বিশেষ এক দ্রবণ ভাইরাল ট্রান্সপোর্ট মিডিয়া বা ভিটিএম।
করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের এই মিশ্রণ দেশেই তৈরিতে ব্যস্ত এক দল গবেষক। গবেষণায় অনুসরণ করা হচ্ছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা আর যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল- সিডিসি'র গাইডলাইন। কোভিড নাইন্টিন সংক্রমণের প্রকৃত চিত্র জানতে প্রয়োজন অধিক হারে নমুনা পরীক্ষা। দেশে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর মার্চের মাঝামাঝিতে ভিটিএম তৈরিতে শুরু হয় বিজ্ঞান বিষয়ক সরকারি গবেষণাগার ডিআরআইসিএম-এর গবেষণা। নমুনা সংগ্রহে প্রতিষ্ঠানটির কিট ব্যবহার করতে সম্প্রতি মিলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আনুষ্ঠানিক সায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, আমাদের বিজ্ঞানীরা কাজ করছে। আমরা তাদের অবশ্যই ক্রেডিট দেবো। আমদানির চেয়ে আমাদের খরচ এখানে অনেক কম পড়বে। এটা তো অনেক বড় একটা প্লাস পয়েন্ট। উৎপাদন অব্যাহত রাখতে বলেছি। আমাদের প্রয়োজন মত আমরা নেবো।
ডিআরআইসিএম-এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, ভিটিএম কিটের মাধ্যমে সম্ভব হবে তুলনামূলক সহজ ও সুরক্ষিত উপায়ে নমুনা সংগ্রহ আর পরিবহন। সঠিক মান ধরে রেখে ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় নমুনা রাখা যাবে তিন দিন পর্যন্ত। ফলে এড়ানো যাবে নমুনা বাতিল হওয়ার ঝুঁকিও। ডিআরআইসিএম বলছে, বর্তমানে আমদানি করা কিটের দাম যেখানে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, সেখানে ২০০ থেকে আড়াইশো টাকার মধ্যেই সরবরাহ করা যাবে ভিটিএম কিট। আর প্রাথমিক পর্যায়ে উৎপাদন সম্ভব দৈনিক ৫ হাজার কিট। ডিআরআইসিএম পরিচালক ডা. মালা খান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যদি মনে করে আরো বেশি লাগবে সেটা আমরা বাড়াতে পারবো। প্রাথমিকভাবে সোমবার বিনামূল্যে ৫ হাজার ভিটিএম কিট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়েছে ডিআরআইসিএম।