কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

করোনাকালে ঝুঁকিতে গর্ভবতী মায়েরা

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২০, ০৬:৪৭

গর্ভবতী নারীর জন্য পরিকল্পনার অভাব, যাতায়াতের বাহন না থাকা, কোন হাসপাতাল গর্ভবতী নারীর জন্য সবসময় খোলা রয়েছে, সে সম্পর্কে না জানা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুযায়ী একজন প্রসূতি নারীকে প্রসবপূর্ব সময়ে ৪ বার চিকিৎসকের কাছে না নিয়ে যাওয়ার কারণে করোনাকালে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে গর্ভবতী নারীরা। বর্তমানে বাড়িতে প্রসবের পরিবর্তে যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে এবং চেকআপে আসতে বলা হচ্ছে সেখানে করোনাকালে  যাতায়াত মাধ্যমের সীমাবদ্ধতার কারণে অবহেলার শিকার হচ্ছেন গর্ভবতী মায়েরা। এই করোনাকালে গর্ভবতী নারীদের সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে হবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।



ইউনিসেফ জানিয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চাপের মুখে পড়ায়  ও সেবা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে হুমকিতে অন্তঃসত্ত্বা মা ও নবজাতক শিশুরা। গত ৭ মে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনিসেফ জানিয়েছে আগামী নয় মাসের মধ্যে আনুমানিক ১১ কোটি ৬০ লাখ শিশুর জন্ম হবে। ইউনিসেফ বিভিন্ন দেশের সরকার ও দাতাদের প্রতি অন্তঃসত্ত্বা নারী ও নবজাতকদের জীবন রক্ষাকারী সেবাসমূহ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানায়।



ইউনিসেফ জানায়, বাংলাদেশে কোভিড মহামারিকালীন সময়ের মধ্যে আনুমানিক ২৪ লাখ শিশুর জন্ম হবে।ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেন, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মা মাতৃত্বের স্বাদ নেওয়ার স্বপ্ন বুনছেন। তাদের এখন এমন একটি বিশ্ব বাস্তবতায় একটি নতুন জীবন আনার জন্য প্রস্তুত হতে হবে যেখানে সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে অন্তঃসত্ত্বা মায়েরা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে ভয় পাচ্ছেন, বা লকডাউন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চাপের মুখে থাকায় তারা জরুরি সেবা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। করোনাভাইরাস মহামারি মাতৃত্বের ওপর কতটা প্রভাব ফেলছে তা এখন কল্পনা করাও কঠিন।ইউনিসেফ সতর্ক করছে যে, কোভিড-১৯ এর জন্য নেওয়া নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপের কারণে শিশুর জন্মকালীন সেবার মতো জীবনর ক্ষাকারী স্বাস্থ্যসেবা বিঘ্নিত করতে পারে, যা লাখ লাখ অন্তঃসত্ত্বা মা ও তাদের সন্তানদের বিরাট ঝুঁকিতে ফেলবে।আর এমনই পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মে) পালিত হচ্ছে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস।


করোনার এই মহামারির সময়ে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবসের প্রাক্কালে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, গর্ভকালীন সময়ে শতকরা ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ গর্ভবতী নারী রক্তশূন্যতায় ভোগেন, অথচ এই সময়ে তাদের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের ছুটতে হচ্ছে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে। এতে করে ঝুঁকিতে পরছেন মা ও গর্ভের শিশু, নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস বিঘ্নিত হচ্ছে। তারা বলছেন, করোনার এই সময়ে সরকারকে প্রসূতি মায়েদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিদ্যা বিশেষজ্ঞ এবং কুমুদিনী উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিলকিস বেগম চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, স্বাভাবিক সময়েই গর্ভবতী নারী একটু বেশি সংবেদনশীল থাকে অর্থাৎ তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। আর কোভিড যেহেতু সংক্রামক রোগ, তাই গর্ভবতী নারীরও সংক্রমিত হওয়ার শঙ্কা থাকে।


আর যদি তার ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, হাঁপানি থাকে তাহলে তার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। আবার এই মায়েরা গর্ভকালীন বা প্রসবকালীন সময়ে আরও ঝুঁকিতে পরে যায় কোভিড-নন কোভিড হাসপাতালের চক্করে পরে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজাউল করিম কাজল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গর্ভকালীন প্রথম ১২ সপ্তাহে একবার, ২০ থেকে ২৮ সপ্তাহের একবার, ২৮ থেকে ৩৪ এবং শেষ প্রসবের দুই সপ্তাহ আগে একবার একজন গর্ভবতী নারীকে চিকিৎসকের কাছে ফলোআপে যেতে বলে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন রয়েছে, আবার প্রসব পরবর্তী চেকআপও রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত আইডিয়াল বা আদর্শ যে চেকআপ সেটা এখনও শতকরা ৫০ শতাংশই ক্রস করেনি মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখনও বেশিরভাগ প্রসবই বাড়িতে হচ্ছে। গর্ভকালীন চেকআপ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও