করোনাকালে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল, সমাধান কী?
রাজধানীর কলাবাগানের বাসিন্দা শাহনাজ পারভীনের প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিল আসে ১০০০ টাকার মধ্যে। কিন্তু লকডাউনের কারণে দুই মাস পরে যে বিল এসেছে, তাতে তার প্রতিমাসের বিল এসেছে দেড় হাজার টাকা করে। অথচ তার বাসায় ফ্রিজ আর টিভি, কয়েকটি ফ্যান ছাড়া অন্যকোনো বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নেই।
তারচেয়েও বেশি জটিলতায় পড়েছেন আরেকজন বাসিন্দা ফারহানা মিলি। তিনি একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘ঢাকা শহরে একুশ বছর ধরে বাসা ভাড়া করে থাকছি- এত টাকার ইলেক্ট্রিসিটি বিল চোখে দেখার সৌভাগ্য কখনও হয়নি। দু'মাসের জন্য ১১,১২০ টাকা- গড়ে প্রতি মাসে পৌনে ছয় হাজার টাকা। কীভাবে সম্ভব!'তিনি জানাচ্ছেন, তার প্রতিবেশীর বাসায় একাধিক এয়ারকন্ডিশনার থাকার পরেও তার বিদ্যুৎ বিল তার চেয়ে কম এসেছে।
‘প্রতি গরমে আমার এ বাসায় মাসপ্রতি বিল সর্বোচ্চ একবার হয়েছিল ১৯০০ টাকা, যেটিও ছিল অস্বাভাবিক। সাধারণত ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা দিয়ে এসেছি। শীতের দিনে হাজার থেকে ১২০০ টাকা। জানি না এবার কী হয়েছে। হয়তো বিদ্যুৎ বিভাগ বলবে, আমরা বিদ্যুৎ খেয়েছি বসে বসে!' তিনি লিখেছেন।
ফারহানা মিলি বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘অনুমাননির্ভর বিদ্যুৎ বিল হলেও, এতো টাকার বিল তো হওয়ার কথা নয়। আর তারা অনুমাননির্ভর বিল দেবেই বা কেন? হয় ঠিকমতো বিল দেবে, না হলে পরে সব একবারে দেবে। আমি যা ব্যবহার করতো, সেটারই তো বিল আসার কথা। অনুমানের ওপর আমাকে বিল দিতে বলা হবে কেন?'
শুধু ঢাকাতেই যে এই চিত্র, তা নয়। ঢাকার বাইরে বেশ অনেক স্থানে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বিল পাওয়ার অভিযোগ করছেন গ্রাহকরা। শরীয়তপুরের বাসিন্দা শামিমুল হক জানাচ্ছেন, সাধারণ প্রতিমাসে যে টাকার বিদ্যুৎ বিল আসে, এই দুই মাসে কয়েকশো টাকা বেশি বিল এসেছে।