যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি এবং জীবন নিয়ে দুশ্চিন্তা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অফিস-আদালত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে। কিন্তু কর্মীদের মধ্যে জীবন এবং চাকরি নিয়ে দুশ্চিন্তা বেড়েই চলেছে।
‘অ্যারাইজ শিকাগো’ নামের প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রে কর্মজীবীদের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে। তাদের কর্মী শেলি রুসিকা জানান, গত কিছুদিন ধরে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১৬০টি করে অভিযোগ পাচ্ছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাত্র ছয় দশমিক দুই ভাগ কর্মী ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য। ফলে মালিকপক্ষ বড় একটা অংশের কর্মীদের প্রাপ্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে। করোনা সংকটেও তাই কর্মীদের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। লকডাউন উঠে গেলে কর্ম ক্ষেত্রে তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার সব উদ্যোগ নেয়া হবে কিনা, নিয়ম অনুযায়ী তারা পারিশ্রমিক পাবেন কিনা- এসব জানতে চেয়ে অনেকেই যোগাযোগ করছেন অ্যারাইজ শিকাগোর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে। খবর ডয়চে ভেলের।
যুক্তরাষ্ট্রে অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা রয়েছে। সেসব দোকানে, বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অনেক কর্মী ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।
কিছু প্রতিষ্ঠান কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে সতর্ক হতে শুরু করেছে বলে জানান শেলি রসিকা। তিনি জানান, রেমুণ্ডো নামের একটি খাদ্য সামগ্রির প্রতিষ্ঠানে ছয় জন কর্মী সংক্রমিত হয়েছিলেন। তারপর থেকে প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের সুস্থতা নিশ্চিত করতে সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।