কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মর্মান্তিক ঘটনা, দাফনের টাকা নিয়েও নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হল লাশ!

বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২০, ১৯:২২

গ্রামের বাড়িতে মেয়ের লাশ দাফন হবে না, এজন্য এক অ্যাম্বুলেন্সে ড্রাইভারের সাথে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে চুক্তি করেছিলেন মেয়ের মৃতদেহ দাফনের। সে জন্য চুক্তির টাকাও পরিশোধ করেছিলেন সেই হতভাগ্য পিতা। কিন্তু সেই মৃতদেহ ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালক দাফন না করেই ফেলে দেয় তিস্তায়। দুই দিন পর সেই মৃতদেহ তিস্তার পানিতে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। আদিতমারী থানা পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে পরিচয় শনাক্ত হবার পর সেই হতভাগ্য পিতার কাছে পুনরায় লাশ দাফনের দায়িত্ব এসে কাঁধে চাপে। কিন্তু ঘটনা জানতে পেরে এবার পুলিশেই দায়িত্ব তুলে নেয় লাশ দাফনের। এমনিই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে মৃত পোশাক শ্রমিক মৌসুমী আক্তারের হতভাগ্য বাবা গোলাম মোস্তফার কপালে!

এমনই এক হৃদয় বিদারক ঘটনায় আদিতমারী থানা পুলিশ পোশাক শ্রমিক মৌসুমী আক্তারের(২২) মরদেহ রবিবার সন্ধ্যায় তিস্তা নদী থেকে উদ্ধার করে। আজ সোমবার ঈদের দিন বিকেলে মরদেহের জানাজা শেষে মৃতের নিজ গ্রামে দাফন করে যৌথভাবে আদিতমারী ও পাটগ্রাম থানা পুলিশ। মৃত পোশাক শ্রমিক মৌসুমী আক্তার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে। তিনি একই উপজেলার বাউড়া ইউনিয়নের সরকারের হাট এলাকার স্বামী নিগৃহীতা মিজানুর রহমানের স্ত্রী।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানান, বাউড়া ইউনিয়নের সরকারের হাট এলাকার আবুল কালামের ছেলে মিজানুর রহমানের সাথে ৬ মাস আগে বিয়ে হয় পোশাক শ্রমিক মৌসুমী আক্তারের। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটলে একাই গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন মৌসুমী। গত বৃহস্পতিবার অসুস্থতা অনুভব করলে একটি ট্রাক যোগে পাটগ্রামে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।

পথিমধ্যে রংপুরের তাজহাট এলাকায় পৌঁছলে ট্রাকচালক তাকে মৃত দেখে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যান। অজ্ঞাত মরদেহ হিসেবে তাজহাট থানা পুলিশ মৌসুমীর মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠান। পরদিন শুক্রবার খবর পেয়ে মৃতের বাবা গোলাম মোস্তফা তাজহাট থানায় গিয়ে মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন। মেয়ের মরদেহ বুঝে নিয়ে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাতকে মোবাইলে বিষয়টি অবগত করে নিজ এলাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি চান। কিন্তু; চেয়ারম্যান ওই মরদেহ করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে তার পরিবার ও মরদেহবাহী গাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার হুমকী দেন বলে অভিযোগ করেন মৃতের বাবা গোলাম মোস্তফা।

নিরুপায় হয়ে হতভাগ্য গরিব বাবা মেয়ের মরদেহ দাফন করতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকার একজন লাশবাহী গাড়ি চালকের সাথে ৫ হাজার টাকা চুক্তি করেন। চালক মরদেহ দাফনের আশ্বাস দিয়ে গোলাম মোস্তফাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে মরদেহটি তিস্তা নদীতে ফেলে দেন। দুই দিন পরে স্থানীয়দের খবরে রবিবার (২৪মে) রাতে উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্দ্ধন গ্রামে তিস্তা নদী থেকে সরকারি ব্যাগে মোড়ানো অজ্ঞাত মরদেহটি উদ্ধার করে আদিতমারী থানা পুলিশ।

সোমবার (২৫ মে) ঈদের নামাজ শেষে আদিতমারী থানা পুলিশ মরদেহটির জানাজা শেষে আদিতমারী কেন্দ্রীয় কবর স্থানে দাফনের প্রস্তুতি নিতেই খবর পেয়ে পরিচয় শনাক্ত করেন মৃতের বাবা গোলাম মোস্তফা। অবশেষে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় আদিতমারী থানা পুলিশ পাটগ্রাম থানা পুলিশের সহায়তায় পাটগ্রামের নিজ গ্রামে বিকেলে মৌসুমীকে দাফন করেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও