ব্রাজিলে ডানপন্থীদের জন্য ওষুধ, বামপন্থীদের জন্য বিয়ার
ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে তিন লাখ ৬৫ হাজার দু'শ ১৩ জন এবং মারা গেছে ২২ হাজার সাতশ ৪৯ জন। সারাবিশ্বের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের তালিকায় ব্রাজিল এখন দুই নম্বরে অবস্থান করছে।
প্রতিদিন দশ হাজারের বেশি মানুষ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আক্রান্ত হচ্ছে। এই পরিস্থিতির জন্য প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোকে দুষছেন ব্রাজিলবাসী। মারণভাইরাস যে কী ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে, তা কখনোই স্বীকার করেননি তিনি। দিন কয়েক আগেই তিনি বলেছিলেন, করোনাভাইরাস একটা কল্পনামাত্র।
কখনোই লকডাউন সমর্থন করেননি প্রেসিডেন্ট। বরং শিল্পপতিদের ব্যবসা নিয়েই বেশি চিন্তিত ছিলেন বলে অনেকের অভিযোগ। সংক্রমণ হাতের নাগাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রতিটি রাজ্যের গভর্নর।
মার্চের শেষ থেকেই সাও পাওলোয় ওষুধের দোকান আর সুপারমার্কেট ছাড়া কিছুই খোলা নেই। স্থানীয় রেস্টুরেন্টগুলোতে শুধু হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি চাল-ডাল পৌঁছে দিচ্ছে সুপারমার্কেটগুলো।
ফলে অনেক বেকার ছেলে একটা সাইকেল থাকলেই কিছু রোজগার করে নিতে পারছে। তাছাড়া, সরকার থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অল্প কিছু টাকা দেওয়া হচ্ছে। গরিব অনেক পরিবারকে পানির বিল মওকুফ করে দেওয়া হয়েছে।
যেহেতু রাস্তায় বের হওয়ার ওপরে কোনো রকমের নিষেধাজ্ঞা নেই, তাই লোকজনের যাতায়াত বা মেলামেশা কখনোই বিশেষ কমেনি। গত সপ্তাহ থেকে প্রত্যেককে মাস্ক পরে বের হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সাও পাওলোর গভর্নর।
তার পর থেকে লোকজনের রাস্তায় বের হওয়া একটু কমেছে। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা । এই মুহূর্তে ব্রাজিলে কোনো স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেই। গত এক মাসে বোলোসোনারো দু’জন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বদলেছেন।