কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

করোনা: কাজে আসছে না চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল

বাংলা নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২০, ১০:০২

করোনা চিকিৎসায় আইসিইউ’র সীমাবদ্ধতা ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না দেওয়ায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। সম্প্রতি করোনায় এস আলম গ্রুপের পরিচালকের মৃত্যুর পর সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগের চিকিৎসা করাতে সরকারি নির্দেশনা থাকলেও তাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলেছে বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের সংগঠন। ফলে সামর্থ্য থাকলেও অনেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন চিকিৎসা সেবা থেকে। যার উদাহরণ সম্প্রতি মৃত্যু হওয়া মোরশেদুল আলম।

জানা গেছে, করোনা প্রার্দুভাব শুরু হওয়ার পর থেকে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য প্রশাসন দফায় দফায় বৈঠক করে বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের সঙ্গে। এতে ১২টি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগের এমন সিদ্ধান্তে কোন সাড়া নেই হাসপাতালগুলোর। নিজেদের হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা না দিতে বেসরকারি হাসপাতাল মালিকরা বন্ধ থাকা হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য অর্থ বিনিয়োগ করেন। ফলে স্বাস্থ্য বিভাগ বেসরকারি হাসপাতালের ওপর কোন রকম চাপ প্রয়োগ করতে পারছে না। যদিও বিনিয়োগের অর্থ বিভিন্ন শিল্প গোষ্ঠীর কাছ থেকে সাহায্য হিসেবে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।

অন্যদিকে বছরখানেক আগে নির্মিত ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা দেওয়ার ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য প্রশাসন চেষ্টা চালালেও রাজি নয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা না দেওয়ার পেছনে সরকারের বিধিবদ্ধ অনুমতি না পাওয়াকে দায়ী করলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, করোনার চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে অনুমতির প্রয়োজন আছে। অনুমতি না পেলে প্রাইভেটে কোন রকম চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে না। কিভাবে রোগী ভর্তি করানো হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে হবে। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উচিত এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করা।

তিনি আরও বলেন, আইসিইউ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনুমতি থাকলেও অন্য রোগীর মধ্যে করোনা পজেটিভ রোগী রাখা সম্ভব না। কারণ এতে অন্য রোগীরাও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এদিকে, বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা দিতে অনীহায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল পারভেজ বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রামে একজন শিল্পপতির মৃত্যুর পর এখানকার হাসপাতাল, আইসিইউ সুবিধা নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ ঝারছেন। সব আধুনিক সুবিধা নিয়ে চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিকমানের ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু করোনা চিকিৎসায় সেটি চালু করা গেল না। স্বাস্থ্যবিভাগ ১২টি বেসরকারি হাসপাতাল নির্ধারণ করলো, যেখানে আইসিইউ সুবিধা আছে। একটাও সরকারের আদেশ মানেনি। এ হাসপাতালগুলো সেবা দিলে গুরুতর রোগীরা সেবা পেতেন। অন্তত মোরশেদুল আলমকে আইসিইউ বেড শেয়ার করতে হতো না। কার বা কাদের কারণে সেটা হলো না, তা দেখার সময় এসেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও