ঈদে এমন নিঃসঙ্গতা আগে দেখেনি রেল
মুসলিম বিশ্বের দুটি ঈদ নানা উৎসবের ডালা মেলে ধরে। নতুন পোশাকের পাশাপাশি প্রিয়জনদের কাছে ফেরা এর মধ্যে অন্যতম। কিন্তু এবার করোনাকালের জন্য অনেকেই রাজধানী বা অন্যান্য মেট্রোপলিটন শহর থেকে প্রিয়জনের কাছে ফিরতে পারছেন না। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ঈদে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেয়া হলেও তা হিতে বিপরীত হয়েছে। এ নিয়ে সমাজে শ্রেণি-বৈষম্য প্রকট হয়েছে বলে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মতামত দিচ্ছেন, প্রতিবাদ করছেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামীকাল রোববার অথবা সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। অন্যান্য সময় ঈদে বাড়ি যাওয়ার জন্য রেলস্টেশনগুলোতে টিকিটের জন্য রীতিমতো যুদ্ধ বাধে। রাতভর লাইনে দাঁড়িয়ে সকালে টিকিট মিললে সব কষ্ট ভুলে যান যাত্রীরা। অগ্রিম টিকিট পাওয়ার পর চলে ট্রেনে ওঠার যুদ্ধ। তারপর সেই শিকড়ের উদ্দেশে আনন্দযাত্রা। প্রিয়মুখের পরশ পাওয়া। কিন্তু এবার এর কিছুই নেই।
শনিবার রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে কেবলই নীরব-নিস্তব্ধতা। নেই কুলি ও হকারদের হাঁকডাক। যাত্রীর পদচারণা তো নেই-ই বরং প্লাটফর্মে নিশ্চিন্তে সারি সারি কুকুর শুয়ে আছে। কয়েকটি পণ্যবাহী ট্রেন চললেও তার ছিটেফোটা দেখা গেল না। হয়তো ট্রেনগুলো পণ্য আনতে বেরিয়ে পড়েছে কোনো জনপদের দিকে।