কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ঈদে বোনাস না পেয়ে হতাশ বিকেএমইএ'র কর্মকর্তা-কর্মাচারীরা

চ্যানেল আই প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২০, ০০:২৩

ঈদে বোনাস না পেয়ে হতাশ বিকেএমইএ’র কর্মকর্তা-কর্মাচারীরা অর্থনীতি- সেমি লিড - জসিম উদ্দিন বাদল ২৩ মে, ২০২০ ০০:২৩ তৈরি পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস হলেও এবারের রমজান ঈদে বোনাস হয়নি নিট পোশাক মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। এতে চরম হতাশা ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা। তবে সংগঠনটির পরিচালনা পরিষদের শীর্ষ নেতারা বলছেন, করোনা সংকটে নেতাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাবে বোনাসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। কিন্তু এটা নিশ্চিত যে ঈদের পরে হলেও স্টাফরা বোনাস পাবেন। শুক্রবার বিকেএমইএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, বিকেএমইএর স্টাফ রয়েছেন ২শ’ র বেশি। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জ অফিস ৫৫ জন, ঢাকা অফিস ৬৫ জন, চট্টগ্রাম অফিসে ৮ জন, অন্যান্য প্রজেক্ট ৫০ জন ও ড্রাইভার-কর্মচারী রয়েছেন ২৫ জন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংগঠনটির নারায়নগঞ্জ ও ঢাকা অফিসের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী চ্যানেল আই অনলাইনকে ঈদ বোনাস না পাওয়ায় তাদের হতাশার কথা জানান। তারা বলেন, সারাবছর অফিস স্টাফরা পোশাক খাতের উন্নয়নে কাজ করেন। বিকেএমইএর নির্দেশমতে, শ্রমিকদের ঈদ বোনাস নিশ্চিত করতে প্রত্যেক কারখানায় চিঠি চালাচালি ও তদারকি করে থাকে। সেই অনুযায়ী পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিশ্চিত করা হয়। অথচ সেই সংগঠনের মূল স্টাফরাই ঈদে বোনাস থেকে বঞ্চিত হলেন। এটা চরম হতাশা ও কষ্টের বিষয়। সংগঠনটির একজন কর্মকর্তা বলেন, গত ২৬ মার্চ হতে করোনার কারণে সরকারি সাধারণ ছুটি চলাকালীন সময়ে বিকেএমইএর স্টাফরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন সেকশনে রোটেশন ভিত্তিতে কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। কারখানা মালিকদের জন্য বরাদ্দকৃত ঋণ প্রাপ্তির সরকারি প্রক্রিয়ায় সহায়তা, শ্রমিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ফ্যাক্টরি চালু করা, শ্রম অসন্তোষ যেন না হয় সে জন্যে দিন-রাত কাজ করেছে। বিজ্ঞাপন তিনি বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে যেন ঈদের আগে বেতন-বোনাস পরিশোধ করা হয় সে জন্যে সকল দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় যারা অন্যের বোনাস প্রাপ্তির জন্য কাজ করছেন তাদের নিজেদের (স্টাফদের) বোনাসই এখনো অনিশ্চিত। ক্ষোভ প্রকাশ করে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, বিকেএমইএর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের ন্যায্য ঈদ বোনাস পাননি। যদি বিকেএমইএ কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হতো তাহলে মেনে নেয়া যেতো যে করোনায় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান লোকসান করেছেন। কিন্তু এটা অব্যবসায়িক অ্যাসোসিয়েশন। এখানে বোনাস না হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। এ বিষয়ে বিকেএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট (অর্থ) মোরশেদ সারোয়ার (সোহেল) চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, করোনায় সব মালিকেরা কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবু শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে কিছুটা চাপে রয়েছে কারখানা মালিকেরা। তিনি বলেন, করোনার কারণে সংগঠনের নেতাদের মধ্যে যোগাযোগের অভাব ও কিছুটা সমন্বয়হীনতা ছিল। তাই স্টাফদের বোনাসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

তবে এটা নিশ্চিত যে, তারা অবশ্যই বোনাস পাবেন। গত ২১ মে থেকে ২৬ মে পর্যন্ত বিকেএমইএর স্টাফদের ঈদের ছুটি দেয়া হয়েছে। তাহলে বোনাস কখন পাবে জানতে চাইলে এই কারখানা মালিক বলেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট খুবই দায়িত্বশীল মানুষ। এসব বিষয়ে তিনি সচেতন রয়েছেন। ২/১ দিনের মধ্যেই আমাদের মধ্যে বৈঠক হতে পারে। তখন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। ঈদের পরে হলেও স্টাফদের বোনাস পরিশোধ করা হবে। তবে সংগঠনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর মনোক্ষুণ্ণ হলেন এই নেতা। এর কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশনা রয়েছে স্টাফদের যারা এপ্রিল মাস পুরো অফিস করেছে, তাদের পুরো বেতন আর যারা পুরো অফিস করেননি তাদের ৬৫ শতাংশ বেতন পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু বিকেএমইএর স্টাফদের সবাই তো এপ্রিলে অফিস করেননি। তবু তাদের শতভাগ বেতন দেয়া হয়েছে। ইচ্ছে করলে বিকেএমইএ এই বেতন কেটে রাখতে পারতো। কিন্তু তা করা হয়নি। মোরশেদ সারওয়ার বলেন, আমাদের সংগঠনের ভাল সংবাদও রয়েছে। কিন্তু ভালোর চেয়ে মন্দ খবরগুলোই বেশি প্রকাশ হয়, যা দুঃখজনক।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও