কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

আম্পান হানা দিয়েছিল উপকূলের বাইরে নতুন নতুন এলাকায়

বিবিসি বাংলা (ইংল্যান্ড) প্রকাশিত: ২১ মে ২০২০, ২২:৩২

বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে প্রায় সাড়ে এগারোশ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির কথা প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: এনামুর রহমান বিবিসিকে এই আর্থিক ক্ষতির কথা জানিয়েছেন।

দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাঁধ, রাস্তা, ব্রীজ-কালবার্টসহ অবকাঠামোর পাশাপাশি ঘরবাড়ি, কৃষি এবং চিংড়ি ঘেরসহ মাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

প্রাণহানি হয়েছে কমপক্ষে ১৬জনের।

দেশের ২৫টি জেলায় প্রায় দেড় মানুষ ঘূর্ণিঘড় আঘাত হানার আগের দিন থেকে বিদ্যুৎহীন রয়েছেন।

এই ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবের চিত্রটা ছিল ভিন্ন ধরণের।

উপকূলীয় অঞ্চলের বাইরে যে জেলাগুলোতে সাধারণত ঘূর্ণিঝড় হয় না, এসব জেলাতেও ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

দক্ষিণ পশ্চিমের জেলার পানের বরজ থেকে শুরু করে রাজশাহীতে মৌসুমী ফল আম এবং উত্তরের অন্য জেলাগুলোয় ধান এবং সবজির অনেক ক্ষতি হয়েছে।

এসব এলাকা থেকে অনেকে বলেছেন, বড় ধরণের ঘূর্ণিঝড়ের অভিজ্ঞতা এবং প্রস্তুতি না থাকায় এর তান্ডব দেখে তারা হতবিহবল হয়ে পড়েন।

সরকার বলেছে, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে দেশের ৪৬টি জেলায় ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

কুষ্টিয়া থেকে শুরু করে ঝিনাইদহ-যশোর পর্যন্ত দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষের ঘূর্ণিঝড় নিয়ে ধারণা খুবই কম। সেখানে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রও নাই। এবারও ঘূর্নিঝড় নিয়ে কোন আশংকা বা প্রস্তুতি ছিল।

কিন্তু ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সারারাতের তান্ডব এই অঞ্চলের মানুষকে আতংকিত করে।

যশোরের চৌগাছা উপজেলার সীমান্বর্তী উজিরপুর গ্রাম থেকে ৬৫ বছর বয়স্ক একজন সমাজকর্মী এমদাদুল হক বলেছেন, এমন ঝড়ের সাথে তারা পরিচিত ছিলেন না।

"এরকম ঝড় কোনদিন দেখি নাই। কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে বা বিভিন্ন সময় নিম্নচাপের সাথে ঝড় হয়েছে। কিন্তু এরকম ব্যাপক ঝড় কখনও হয়নি। ফলে সেজন্য কোন প্রস্তুতিও আমাদের ছিল না। ক্ষয়ক্ষতি মনে করেন, জমিতে ধান পানির নীচে গেছে। পাটের আগা ভেঙে গেছে।ঘরবাড়ি এবং গাছ অনেক ভেঙে গেছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।"

যশোরসহ ঐ অঞ্চলের জেলাগুলোতে একরের পর একর জমিতে পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পান গাছের লতা বাঁশের খুঁটি দিয়ে উঠিয়ে রাখা হয়, সেটাকে বরজ বলা হয়। পানচাষীরা সাধারণত বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে পান চাষ করে থাকেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও