ঈদ সংখ্যায়ও করোনার থাবা
ঢাকা: অদ্ভুত এক সময় পার করছি আমরা। চারপাশে যা উৎসবের, তা এবার অনুপস্থিত। সর্বত্র প্রাণঘাতী করোনার হাহাকার। এরইমধ্যে দুয়ারে কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি মাসের ২৪ অথবা ২৫ তারিখ ঈদ। প্রতি বছর এ সময় বাজারে রংবেরঙের প্রচ্ছদ আর হরেক রকমের লেখা নিয়ে পাওয়া যায় ঈদ সংখ্যা। কিন্তু এবার ঈদ আনন্দের অন্যতম এ অনুষঙ্গটিও অনুপস্থিত। বেরসিক করোনার প্রাদুর্ভাবে বাজারে নেই ঈদ সংখ্যা। শুধু একটি জাতীয় দৈনিক ঈদ সংখ্যা প্রকাশ করেছে।
লচ্চিত্র লেখক ও গবেষক চিন্ময় মুৎসুদ্দীর এক লেখা থেকে জানা যায়, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রা প্রথম ঈদ সংখ্যা প্রকাশ করে। এর পর গত প্রায় আড়াই দশক ধরে প্রায় সব দৈনিক-সাপ্তাহিক-পাক্ষিক-মাসিক পত্রিকা ঈদ সংখ্যা প্রকাশ করে আসছে। দিন কে দিন কলেবর যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে লেখকের সংখ্যাও। একশ-দুইশ পৃষ্ঠা থেকে ছয়শ পৃষ্ঠার ঈদ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এবার তার কোনটিই হচ্ছে না। এমনকি বিভিন্ন অনলাইন নিউজপোর্টাল ডিজিটাল ঈদ সংখ্যা প্রকাশ করে এলেও, এবার সেটিও প্রকাশ পাচ্ছে না।
২০১০ সালে বাজারে আসার পর থেকেই পাঠকের আকর্ষণের শীর্ষে থাকে দৈনিক কালের কণ্ঠের ঈদ সংখ্যাটি। এবারও পাঠকদের জন্য তাদের রুচির কথা বিবেচনা করে পত্রিকাটি ঈদ সংখ্যা প্রকাশের প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সেটি প্রকাশ পাচ্ছে না। এ বিষয়ে কালের কণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কথাসাহিত্যিক মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ভালো প্রস্তুতি ছিল। প্রতিবারই আমরা আগের বারের চেয়ে ভালোভাবে করার চেষ্টা করি।