কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নওগাঁর মেসের ভাড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের চাপ দিচ্ছে মালিকপক্ষ

আরটিভি প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২০, ১৩:০৬

নওগাঁয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরা বাসা ( মেস ) ভাড়া নিয়ে বসবাস করে থাকেন। বর্তমানে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বন্ধ হয়ে আছে নওগাঁ শহরের মেসগুলো। ফলে শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়ে থাকতে হচ্ছে নিজ বাসায়। আর শিক্ষার্থীদের দাবি প্রতিমাসের ভাড়ার জন্য মুঠোফোনে চাপ প্রয়োগ করছে এক অংশের মেস মালিক পক্ষ।

করোনাভাইরাসের কারণে সারা দেশের মতো নওগাঁ জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ আছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলে শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মিলবে শিক্ষার্থীদের আনা-গোনা। ঠিক তেমনি মেস মালিকদের দাবি ব্যাংক লোন নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করে তাতে ছাত্রাবাস দিয়ে এই বৈশ্বিক সময়ে যে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা তার সঠিক সমাধান চান। প্রশাসন বলছে দুই পক্ষকে সমন্বয় করে সমস্যা সমাধানের জন্য মাঠে কাজ করছেন কর্মকর্তারা।

নওগাঁ জেলায় নওগাঁ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, বি এম সি মহিলা কলেজ এবং নওগাঁ পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউট এই তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে আবাসন মেস গড়ে উঠেছে প্রায় ২০০-২৫ টি। বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ হয়েছে এসকল মেস। কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবি তারা বাড়িতে অবস্থান কালে মেস মালিক পক্ষ নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করছে তাদের প্রতিমাসের ভাড়া পরিশোধ করার জন্য।

নওগাঁ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মেসে থাকা দুইজন শিক্ষার্থী জানান, বর্তমানে মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে অন্যসকলের মতো তাদের পরিবারের উপার্জিত কর্তাদেরও উপার্জন বন্ধ হয়ে আছে। তাই তারা বর্তমান পরিস্থিতিতে মেস ভাড়া মওকুফের জন্য মালিকপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান। শিক্ষার্থীদের দাবি মার্চ মাসের ২০ তারিখ থেকে তারা মেস ছেড়ে দিয়ে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। তাই তারা মার্চ মাসের মেস ভাড়া পরিশোধ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু না হওয়া পর্যন্ত তারা ভাড়া মৌকুফের দাবি জানান। শিক্ষার্থীরা জানান, যারা মেসে থাকেন তারা অধিকাংশ মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে আসা। তাদের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা টিউশনি করিয়ে মেস ভাড়াসহ পড়াশুনার খরচ জোগাড় করেন। বর্তমানে মহামারীর কারণে তাদের টিউশনগুলোও বন্ধ রয়েছে। তাই তারা দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তাদের তাদের মেস ভাড়া মৌকুফ করে এর সমাধান করা।

এদিকে মালিকপক্ষরা জানিয়েছেন অনেক মেস মালিক রয়েছেন যারা বাসা বানিয়ে মেস করেছেন তাদের অধিকাংশ মেস মালিক ব্যাংক থেকে লোন করে বাড়ি করেছেন। প্রতি মাসে তারা ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা ভাড়া পেয়ে থাকেন। মেস ভাড়ার একটা অংশ তাদের প্রতিমাসে ব্যাংকে দিতে হয়। এই মহামারীর কারণে মেস ভাড়ার টাকায় যে সকল মেস মালিকদের সারা মাস সংসার চালাতে হয় তাদের সরকারি প্রণোদনার আওতাভুক্ত করার দাবি জানান মালিকপক্ষ।

তারা জানান, ২৫০টি মেস এর মধ্যে অল্পসংখ্যাক মেস মালিক তাদের মেসে ভাড়া মৌকুফ করেছেন । এছাড়া তারা যারা একেবারে অসহায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তা মৌকুফ করছেন। তারা বলেন, এই বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে যারা সচ্ছল অবস্থায় রয়েছেন অথচ পড়াশুনার তাগিদে বিভিন্ন মেসে থাকেন সেসকল পরিবারগুলো যেন তাদের পাশে থাকেন এই দাবি তারা জানিয়েছেন।

এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জানান- বৈশ্বিক মহামারীর কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থী মেস ভাড়া দিতে পারছে না । জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তারা শহরের মেস মালিকদের নিয়ে একটি সমন্বয় সভা করছেন। মেস মালিকরা ভাড়া মৌকুফের জন্য তাদের আশ্বাস দিয়েছেন। তাছাড়া কোনও মেস মালিক কোনও শিক্ষার্থীদের আসবাবপত্র জব্দ করে ভাড়া আদায় বা কোনও প্রকারের চাপ প্রয়োগ করে শিক্ষার্থীর কাছে থেকে ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করতে পারবে না বলে মেস মালিকদের পক্ষ থেকে জানানও হয়েছে বলে তিনি জানান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও