নোয়াখালীতে দুই প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা হবে করোনার

নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। আজ সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস, সিভিল সার্জন মো. মোমিনুর রহমান, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসা, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম সামছুদ্দিন জেহান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি ফজলে এলাহী খান, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানসহ অনেকে। এখন থেকে এ দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মেডিকেল কলেজে এক শিফটে ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। আর নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে প্রতিদিন দুই শিফটে অন্তত ১৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। যা প্রয়োজনে ৪০০–তে উন্নীত করা যাবে।নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, আজ কিছু নমুনা সরবরাহ করা হয়েছে, যা রাতে পরীক্ষা শেষে মঙ্গলবার সকালে ফলাফল জানানো হবে। অনুদান বিতরণ: করোনা পরীক্ষার উদ্বোধন শেষে সাংসদ একরামুল করিম তাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত ‘একরাম চৌধুরী ফাউন্ডেশন’–এর পক্ষ থেকে করোনায় মারা যাওয়া ভোরের কাগজ ও সময়ের আলো পত্রিকার দুই সাংবাদিক এবং ছয় পুলিশ সদস্যের প্রত্যেক পরিবারের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৪ লাখ টাকা এবং নোয়াখালীর অসুস্থ প্রবীণ সাংবাদিক আহসান উল্যাহ মাস্টারের জন্য ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেন। এ ছাড়া তিনি অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সুবর্ণচরে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগকে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ১৪ লাখ টাকা, জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য ২ লাখ টাকা অনুদান দেন এবং জেলা শহরের মধ্যবিত্তদের খোঁজখবর নিয়ে তাদের ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতির হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘ব্যক্তি সচেতনতা নয়, সমষ্টিগতভাবে সচেতন হতে হবে। না হয় এ ভাইরাস আমাদের শেষ করে দেবে।’ তাই সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানান এবং যাঁরা দোকানপাট খুলেছেন, তাঁদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।