কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

চাহিদার তুলনায় ত্রাণ কম, অনিয়ম হলে ব্যবস্থা

বাংলা নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২০, ০৯:৪৯

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে রাজধানীসহ সারাদেশ চলছে লকডাউন। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছে লাখ লাখ মানুষ। এ ক্ষেত্রে দিনমজুর, শ্রমিকসহ নিম্নআয়ের মানুষ পড়েছেন বিপাকে। তাদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ শুরু হলেও স্বজনপ্রীতি, সমন্বয়হীনতা, বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এজন্য ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম তদারকি করতে ৫৫ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়াসহ তালিকা করে কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। নিদিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেবেন তারা। এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ত্রাণ বিতরণের সঠিক পরিকল্পনা ও সমন্বয় না থাকায় ত্রাণ চুরির মতো ঘটনা ঘটেছে, যা দুর্যোগ মোকাবিলাকে আরও জটিল করে দিচ্ছে। ত্রাণও প্রয়োজনের তুলনায় কম। কিছু কিছু এলাকায় এখনো ত্রাণ বিতরণ শুরুই হয়নি। এজন্য সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসতে হবে। রাজধানীর দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিটি করপোরেশন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, এনজিও এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও দেখা গেছে নিজেদের ইচ্ছেমতো ত্রাণ বিতরণ করতে। আবার অনেক স্থানে জনপ্রতিনিধিদের দেখাও মিলছে না। সিটি করপোরেশনের চাহিদা মতো ৫০০ পরিবারের নামের তালিকা জমা দেওয়া হলেও অনেক কাউন্সিলর এ পর্যন্ত কোনো ত্রাণ বরাদ্দ পাননি। আর যেসব ওয়ার্ডে ত্রাণ পৌঁছেছে, তাও প্রয়োজনের তুলনায় যৎসামান্য। ফলে স্থানীয় দরিদ্র মানুষ তাদের ভুল বুঝছেন। স্থানীয় নিম্নআয়ের মানুষরা প্রতিদিনই ত্রাণের জন্য ভিড় করছেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে যতোটুকু সম্ভব ত্রাণ দিয়ে সহায়তা করছেন অনেক কাউন্সিলর। অনেক এলাকায় ভোটার না হলে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে না। অনেকে আবার একাধিকবার ত্রাণ পাচ্ছেন। এতে ত্রাণ বিতরেণে স্বজনপ্রীতি, সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করা গেছে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ রোধে মানুষে মানুষে দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। অথচ ত্রাণ বিতরণকালে অধিকাংশ স্থানেই এটি উপেক্ষিত হচ্ছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. সাঈদ খোকন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সবক’টি ওয়ার্ডে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ ওয়ার্ডে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাকি ওয়ার্ডগুলোতেও শিগগিরই পৌঁছে দেওয়া হবে। সরকারের তরফ থেকে যে পরিমাণ ত্রাণ দিচ্ছে সেটা সামান্য। কোটি মানুষের শহরে ৩৫০ মেট্রিকটন চালে কী হবে। তিনি বলেন, ত্রাণ বিতরণে আমাদের একটি কমিটি রয়েছে। সেখানে কমিশনারসহ সরকারি কর্মকর্তা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আছেন, তারা বিষয়টা মনিটরিং করছেন। আমাদের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে স্বজনপ্রীতি, বিশৃঙ্খলা বা একই ব্যক্তিকে বারবার দেওয়ার মতো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য স্থানীয়ভাবে বলা হয়েছে। মাইকিং করা হচ্ছে। রাস্তাগুলোতে প্রতিদিন ব্লিচিং পানি ছিটানো হচ্ছে। দক্ষিণ সিটি মেয়র বলেন, আমরা প্রতি ওয়ার্ডে ৫০০ করে মোট ৫০ হাজার পরিবারকে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। এখানে ঢাকার ভোটার হতে হবে এমন কোনো বিষয় নেই। তবে তাকে অবশ্যই দুস্থ অসহায় দরিদ্র হতে হবে। আমরা ত্রাণ হিসেবে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ লিটার তেল, এক কেজি লবণ, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি পিঁয়াজ দিচ্ছি। এগুলো দিয়ে তিনজনের একটি পরিবারের ২৫ দিন চলে যাবে। এছাড়া আমাদের হট লাইনে প্রতিদিন ১২০০ থেকে ১৫০০ ফোন পাই। সবাইকে তো দেওয়া সম্ভব হয় না। প্রতিদিন আমরা ৩৫০ পরিবারকে ত্রাণ দিচ্ছি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এটা সত্য যে প্রথম দিকে ত্রাণ কার্যক্রমে কিছু সমন্বয়হীনতা ছিল। কিন্তু এখন তালিকা করে ত্রাণ দিতে বলেছি। প্রত্যেক কউন্সিলর ৫০০ জনের তালিকা দিয়েছেন। সবাই যেন সমানভাবে পায় সেদিকে আমাদের নজর রাকতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা মেনে ঘরে ঘরে ত্রাণ দেওয়া কঠিন বলে মনে করেন তিনি। একইসঙ্গে বলেন, কাউন্সিলরা যদি প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত নিয়মের ব্যতয় ঘটান, তাহলে অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নেবো। আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা চাহিদা মতো ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। প্রয়োজনের তুলনায় কম হলেও প্রক্রিয়া চলমান থাকলে ত্রাণ কার্যক্রম আমরা চালিয়ে যেতে পারবো। এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ত্রাণ নিয়ে কোনো অনিয়ম হয়নি, কোথাও একটা মামলাও হয়নি। ডিসি, ইএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিয়ে কমিটির মাধ্যমে তালিকা করে ঘরে ঘরে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও