সকল অশুভ-অসুন্দরের ওপর সত্য-সুন্দরের জয় হোক : রাষ্ট্রপতি
আজ পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ। বাঙালির সর্বজনীন উৎসবে মাতার দিন। করোনাভাইরাস সংকুল পরিস্থিতিতে নববর্ষ উপলক্ষে বাণীতে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতি বাণীতে বলেছেন, আজ পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ ১৪২৭। বাঙালির মহামিলনের আনন্দ-উজ্জ্বল দিন। আনন্দঘন এ দিনে আমি দেশে-বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, চির নতুনের বার্তা নিয়ে আমাদের জীবনে বেজে ওঠে বৈশাখের আগমনী গান। ফসলি সন হিসেবে মোঘল আমলে যে বর্ষগণনার সূচনা হয়েছিল, সময়ের পরিক্রমায় তা আজ সমগ্র বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। বাঙালি জাতির অসাম্প্রদায়িক চেতনায় চিড় ধরাতে ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানি সামরিক সরকার বাংলা নববর্ষ উদযাপনসহ সকল গণমুখী সংস্কৃতির অনুশীলন সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ ধর্মীয় ও গোষ্ঠীগত ভেদাভেদ ভুলে নববর্ষ উদযাপনে এক কাতারে সামিল হন। ‘স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে আয়োজিত বৈশাখী মঙ্গল শোভাযাত্রা বাঙালির এই মহামিলনে নতুন মাত্রা যুক্ত করে। মঙ্গল শোভাযাত্রা মানবসভ্যতার প্রতিনিধিত্বশীল সংস্কৃতি হিসেবে আজ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। ২০১৬ সালে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ‘ইন্টেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ এর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। এ স্বীকৃতি আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরার পাশাপাশি জাতি হিসেবে আমাদের অসাম্প্রদায়িক অবস্থানকে আরও সমুন্নত করবে বলে আমার বিশ্বাস।’ ইকে...