বাইরে যাওয়ার আগে ভয়ঙ্কর তথ্যগুলো জেনে নিন
বাংলাদেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার ২৬তম দিন আজ। আইইডিসিআরের তথ্যমতে, দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ জন। এতে মারা গেছেন ৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩০ জন। তাই খুব বেশি খুশি হওয়ার উপায় নেই। কেননা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিসংখ্যান ভয়ঙ্কর তথ্য দিচ্ছে। মহামারী আকার ধারন করা দেশগুলোতে করোনা শনাক্ত হওয়ার দেড়-দুই মাস পর আক্রান্তের ব্যাপক হারে সংখ্যা বেড়েছে। তাই যারা ভাবছেন, ইউরোপের মতো পরিস্থিতি এশিয়া বা আমাদের দেশে হয়নি বা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাদের ভাবনা মোটেই সঠিক না-ও হতে পারে। ফলে বিশেষ কোনো প্রয়োজন ছাড়া বের হবেন না। বাইরে যাওয়ার আগে ভয়ঙ্কর তথ্যগুলো একবার দেখে নিন- যুক্তরাষ্ট্র: ১ জানুয়ারি ১ জন শনাক্ত হয়। ১ ফেব্রুয়ারি ৭ জন শনাক্ত হয়। ১ মার্চ শনাক্ত হয় ৭৪ জন। আর ১ এপ্রিল সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৯০ হাজারে। মাত্র তিন মাসের ব্যবধান। ইতালি: ৩১ জানুয়ারি শনাক্ত হয় ২ জন। ২৯ ফেব্রুয়ারি শনাক্ত হয় ১ হাজার ১০০ জন। ৩১ মার্চ শনাক্ত হয় ১ লাখ ৫ হাজার ৮০০ জন। স্পেন: ১ ফেব্রুয়ারি ১ জন, ০১ মার্চ ৮৪ জন আর ৩১ মার্চ ৯৬ হাজার জন শনাক্ত হয়। যুক্তরাজ্য: ৩১ জানুয়ারি ২ জন, ১ মার্চ ৩৬ জন আর ৩১ মার্চে এসে দাঁড়ায় ২৫ হাজার ৫০০ জন। জার্মানি: ২৭ জানুয়ারি ১ জন, ২৭ ফেব্রুয়ারি ৪৬ জন, ২৭ মার্চ ৫১ হাজার জন এবং ৩১ মার্চ শনাক্ত হয় ৭১ হাজার ৮০০ জন। ফ্রান্স: ২৪ জানুয়ারি ২ জন, ২৪ ফেব্রুয়ারি ১২ জন, ২৪ মার্চ ২২ হাজার ৬০০ জন আর ৩১ মার্চ ৫২ হাজার ৮০০ জন শনাক্ত হয়। ভারত: ৩০ জানুয়ারি ১ জন, ২৯ ফেব্রুয়ারি ৩ জন এবং ৩১ মার্চ ১ হাজার ৪০০ জন। পাকিস্তান: ২৬ ফেব্রুয়ারি ছিল ২ জন, ২৬ মার্চ পর্যন্ত হয় ১ হাজার ২০০ জন আর সেটি ৩১ মার্চ গিয়ে হয় ১ হাজার ৯০০ জন। বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল ৮ মার্চ। এখনো ১ মাস হয়নি। অনেক দেশে ১ মাসে এতো বেশি ছিলও না। এ দেশে মহামারী রূপ নিলে কী হবে, সেটা আলাদা করে বলার কিছু নেই। তখন আর ঘরে থেকেও লাভ হবে না। পাশাপাশি আরও কিছু তথ্য জেনে নিতে পারেন। যারা আবহাওয়ার তাপমাত্রার কথা বলেন।