কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

পানির দামে সবজি বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক

বণিক বার্তা প্রকাশিত: ০৩ এপ্রিল ২০২০, ০২:০১

দেশের অন্যতম বৃহৎ সবজির বাজার যশোরের সাতমাইল হাট। জেলার বিভিন্ন এলাকার চাষীরা তাদের উৎপাদিত সবজি নিয়ে প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার এ হাটে আসেন। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখান থেকে সবজি কিনে ট্রাকযোগে নিয়ে যান। কিন্তু নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে এখানেও। করোনাভাইরাস আতঙ্কে পাইকাররা হাটে আসছেন না। হাটে পাইকার না থাকায় গতকাল পানির দামে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। সদর উপজেলার নাটুয়াপাড়া গ্রামের আলী হোসেন বলেন, এবার ১৪ কাঠা জমিতে পটোলের আবাদ করেছিলাম। গতকাল হাটে পটোল বিক্রি করেছি ২৮ টাকা কেজিতে। অথচ এক কেজি পটোল উৎপাদনে খরচ হয় ২৮-৩০ টাকা। চূড়ামনকাঠির বিজয়নগরের কৃষক আহাদ বলেন, মুলা ১৮ টাকা কেজিতে বিক্রি করলাম। ৩৫ টাকা বিক্রি হলে আমাদের লোকসান হতো না। কিন্তু কী করব হাটে পাইকাররা না আসায় স্থানীয় ব্যাপারীরা দাম দিতে চাইছেন না। বড় হৈবত্পুর গ্রামের চাষী মোহর আলী বলেন, পটোল ২৮ টাকা, উচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি করে লোকসান দিতে হলো। একই গ্রামের শুকুর আলী বলেন, বাঁধাকপি, ৬ টাকা পিস, লাউ ১০-১২ টাকা পিস, বেগুন ৮ টাকা কেজি, ঢেঁড়স ১০ টাকা ও শিম ১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এতে আমাদের পুঁজি বাঁচবে না। কিন্তু কী করব, সবজি না বিক্রি করলে তো নষ্ট হয়ে যাবে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ব্যাপারী আনোয়ার হোসেন জানান, গত রোববার হাটে পরিবহন খরচসহ পটোল ৩২ টাকা কেজিতে কিনে ঢাকার কেরানীগঞ্জে ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হয়েছিল। বড় পাইকাররা দাম দিচ্ছেন না। স্থানীয় ব্যাপারী আবদুর রহমান বলেন, আগে ঢাকায় যেতে ট্রাকভাড়া লাগত ১৩-১৪ হাজার টাকা কিন্তু এখন ভাড়া নিচ্ছে ১৮ হাজার টাকা। এতে পণ্যের দাম বেশি পড়লেও আমরা ঢাকায় সবজি নিয়ে দাম পাচ্ছি না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও