সোনাইমুড়ীতে দুই পরিবারের ৬ জন আইসোলেশনে, বাড়ি লকডাউন
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের দু’টি পরিবারের ৬ সদস্যকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।মঙ্গলবার রাতে সর্দি ও জ্বরে আক্রান্ত শিশুসহ ওই ৬ জনের উপসর্গ দেখে তাদের সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে রয়েছে আড়াই বছরের এক শিশু, আট মাস বয়সী এক শিশু, তের বছর বয়সী এক শিশু, ত্রিশ বছর বয়সী একজন পুরুষ, তেইশ বছর বয়সী এক নারী ও পঞ্চাশ বছরের এক নারী। উপজেলা প্রসাশন থেকে আইসোলেশনে থাকা রোগীদের বাড়ি দু'টি লকডাউন ঘোষণা করেছে।বুধবার সকালে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিনা পাল বাড়ী দু’টি লকডাউন ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় দেওটি গ্রামে করোনাভাইরাস আতঙ্ক বিরাজ করছে।দেওটি ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আমিন শাকিল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই ছয় জনের অসুস্থতার খবর পেয়ে তিনি রাতেই পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খবর দেন। পরে পুলিশ ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে অ্যাম্বুলেন্সসহ স্বাস্থ্য কর্মীরা এসে তাদের নিয়ে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাইনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তথ্যের ভিত্তিতে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে ৬ জন রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের সবার সর্দি ও জ্বর রয়েছে। বর্তমানে শিশুরা ছাড়া বাকীদের অবস্থা ভালো।তিনি আরও জানান, গত কয়েকদিন আগে অসুস্থরা একজন দুবাই প্রবাসী আত্মীয়ের সংস্পর্শে এসেছিলেন। এরপর থেকে জ্বরে ভুগলেও তারা তথ্য গোপন করে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তাদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানোর মতো সরঞ্জাম না থাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিনা পাল জানান, অসুস্থদের বাড়ি দু’টি লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসনের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে এলাকায় সর্তকর্তামূলক মাইকিং করা হয়েছে।