কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

গৌরীপুর রেলওয়ে স্টেশনের হকারদের মাথায় হাত

কালের কণ্ঠ প্রকাশিত: ০১ এপ্রিল ২০২০, ১৪:১২

গৌরীপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশন। এ স্টেশন থেকে ট্রেনযোগে দেশের বিভিন্ন রেলরুটে প্রতিদিন যাতায়াত করেন কয়েক হাজার যাত্রী। বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এর কারণে মার্চের শেষের দিকে দেশে সব ধরনের ট্রেনের টিকিট বিক্রিও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বন্ধ করা হয় সকল ট্রেন চলাচলও। ফলে বন্ধ হয়ে যায় এই রেলওয়ে স্টেশনটিও। এ স্টেশনটি বন্ধ হওয়ায় প্রভাব পড়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝে।  আজ বুধবার (১ এপ্রিল) সরেজমিনে গৌরীপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, জুতা সেলাই করার দোকান থেকে শুরু করে টি স্টল, রেস্টুরেন্টসহ সব ধরনের দোকান বন্ধ অবস্থায় পড়ে আছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন স্টেশন এলাকায় দোকান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষগুলো। হকাররাও কর্মহীন হয়ে পরিবারের চিন্তায় মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। কয়েক হাজার লোকের সমাগম হওয়া এ স্টেশন এলাকাও এখন অনেকটাই জনমানবশূন্য। স্টেশন এলাকায় কয়েকজন ব্যবসায়ী ছাড়া তেমন কাউকে চোখে পড়েনি। গৌরীপুর রেলওয়ে স্টেশনের চাটাই ব্যবসায়ী মো. কালাম, কাশেম এবং আলাল। ট্রেনযোগে ভৈরবে নিয়মিত চাটাই পাঠাতেন তারা। করোনাভাইরাসের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। এ ব্যাপারে কথা হয় তাদের সঙ্গে। তারা বলেন, ট্রেন বন্ধ হওয়ায় আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। দ্বিগুণ খরচ হচ্ছে আমাদের। আগে ট্রেনে মাল পাঠাতাম। এখন ট্রাকে পাঠাতে হচ্ছে। ট্রাক ভাড়া অনেক বেশি। পরিবার নিয়ে এই মুহূর্তে টিকে থাকাটা আমাদের পক্ষে কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্টেশন এলাকায় জুতা সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করেন মো. দুলাল মিয়া। তিনি বলেন, ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্টেশনে লোকজন আসে না, আমার ইনকামও নেই। পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি। পান ব্যবসায়ী রহমত আলী বলেন, কি করব বাবা। ব্যবসা নেই একদম। সব বন্ধ। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের মতো গরিব মানুষের কি অবস্থা হবে আল্লাহ জানে। স্টেশনে ফেরি করে চানাচুর বিক্রি করেন মো. মোস্তফা ফকির। তিনি আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, আমাদের দিনকাল খুব করুণ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা খুব কষ্টে করছি। কয়েকদিন ধরে ব্যবসা বন্ধ। দিন এনে দিন খাই আমরা। আমাদের কেউ জিজ্ঞাসা করে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও