করোনা, ক্ষুধা ও রাষ্ট্রের লাঠি
১৬ কোটি মানুষের বাস এই বাংলাদেশে। কিন্তু ভাইরাসের পরীক্ষা হয়েছে মাত্র হাজারখানেক। একজন ফেসবুক মন্তব্যে লিখেছেন, ‘স্কুলে পরীক্ষা না হলে তো আর কেউ ফেল করে না। বাংলাদেশের সেই দশা।’ সংবাদপত্রে প্রকাশিত একাধিক খবরে জানা যায়, অনেকে লক্ষণ নিয়ে যোগাযোগ করলেও টেস্ট করার সুযোগ পাচ্ছেন না। একই রকম লক্ষণ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন—এ রকম খবরও আছে। লক্ষণ আছে কিন্তু শনাক্ত হয়নি, অথচ এ রকম একটি ক্ষেত্রেও যদি করোনাভাইরাস আক্রান্ত সত্যি হয়ে থাকে তাহলে এর সূত্রে কতজন বিপদাক্রান্ত হতে পারেন, তা চিন্তা করাও কঠিন। এই চিকিৎসায় চিকিৎসক-নার্সদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি, কিন্তু তাদেরও কোনো সুরক্ষা নেই। সরকার সমর্থক চিকিৎসকরা পর্যন্ত সংবাদ সম্মেলন করে এসব সামগ্রী নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন, কিন্তু কোনো নড়াচড়া দেখা যায়নি। এখন চীন থেকে এসেছে, দেশে সরকারের বাইরে অনেকে উদ্যোগ নিচ্ছেন।