নন্দীগ্রামে বিধিনিষেধ মানছেনা নিম্নআয়ের মানুষেরা
বগুড়ার নন্দীগ্রামে সরকারি বিধিনিষেধ মানছেন না নিম্নআয়ের মানুষেরা। সরকারিভাবে চাল দেওয়ার খবর শুনেই শত শত নিম্নআয়ের মানুষ ভিড় করছেন উপজেলা পরিষদে। জানা গেছে, বিশ্বজুড়ে হানা দেওয়া ভয়াবহ করোনাভাইরাস বাংলাদেশে সংক্রমণের পর এ নিয়ে মানুষের মাঝে বেশ আতঙ্ক বিরাজ করছে। মুখে মাস্ক পরা, হাতে গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার ও ঘরের মধ্যে অবস্থানের মতো কড়াকড়ি নির্দেশনা মানার পরামর্শ দিচ্ছে প্রশাসন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে শহরের গণ্ডির মধ্যে কিছু মানুষ এ বিধি মানলেও মানছেন না গ্রামের অধিকাংশ নিম্নআয়ের মানুষ। প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, নন্দীগ্রাম উপজেলায় পাঁচটি ইউনিয়নে ১০ মেট্রিক টন চাল ও ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় ৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। বরাদ্দ অনুযায়ী উপজেলা ও পৌরসভায় এক হাজার ৫শ কর্মহীন পরিবার ১০ কেজি করে চাল পাবে। রবিবার সকালে উপজেলা পরিষদে কর্মহীনদের চাল দেওয়া হবে। এমন খবর পেয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শত শত কর্মহীন ভ্যান-রিকশাচালকসহ নিম্নআয়ের মানুষ ভিড় জমায়। পাশাপাশি গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে বিকেল না হতেই বেড়ে যাচ্ছে লোকসমাগম। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় এলাকায় মাইকিং করে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে বার বার বলা হচ্ছে। করোনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। অব্যাহত প্রচার-প্রচারণার পরও নিম্নআয়ের মানুষদের সচেতন করা যাচ্ছে না। এদিকে কর্মহীনদের সহায়তায় বাড়ি বাড়ি ছুটে চলেছেন জেলা পরিষদের সদস্য ও রাজনৈতিক দলের নেতারা। ভ্যানচালক আবুল কালাম, ওবাইদুর রহমান বলেন, কয়েকদিন ধরে রিকশাভ্যান বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করতে হচ্ছে। সরকারিভাবে চাল দেয়ার খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদে এসেছি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না। তাহলে খাবার পাবো কথায়। এ কথা চিন্তা করেই আসা হয়েছে। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শারমিন আখতার বলেন, সরকারিভাবে বিনামূল্যে চাল দেয়ার খবর শুনে তারা এসেছে। তাছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রেখে চেয়ারম্যানদের চাল দিতে বলা হয়েছে।