দেশের মাটিতে মৃত্যু চান ব্যাঙ্গালুরুতে আটকা পড়া ক্যান্সার রোগী
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মৌসুমী আকতারের বাবা ব্যাঙ্গালুরুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। মরণব্যাধি ক্যান্সার থেকে বাঁচার জন্য সহায়-সম্বল সব শেষ। তবুও যদি পরিবারের কর্তা বেঁচে থাকেন এই আশায় ভারত যাওয়া। কিন্তু চিকিৎসকরা সেই আশায়ও আঘাত করে চিকিৎসা আর না নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। হাসপাতাল থেকে দিয়েছেন মুক্তি। সাবেক সরকারি কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) এখন দেশের মাটিতে মরতে চান। বেঁচে থাকার দিনগুলোতে মেয়ে-ছেলে আর নাতি-নাতনির মুখ দেখতে চান। কিন্তু বিধি বাম। করোনাভাইরাসের কারণে ভারতে আটকা পড়েছেন তারা। বিদেশ বিভূঁইয়ে সব খুইয়ে এখন দিশেহারা। শুধু ব্যাঙ্গালুরু নয়, এখন বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রোগী যায় ভেলোরের সিএমসি হাসপাতালে। প্রতি বছর প্রায় ১২ লাখেরও বেশি মানুষ সেখানে গেলেও অধিকাংশই সিএমসি হাসপাতালে যান। এছাড়া চেন্নাই, ব্যাঙ্গালুরু, মুম্বাইও যান। এসব জায়গায় এখন হাজার হাজার বাংলাদেশি রোগী ও তাদের আত্মীয়-স্বজন আটকা। ব্যাঙ্গালুরুতে আটকা পড়া এসব রোগী ও আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের দেশে ফেরার সময় অনেক আগেই শেষ হয়েছে। কিন্তু আটকা পড়ে আছেন সেখানে। তাদের টাকা-পয়সাও শেষ। ভারত লকডাউন হওয়ায় দেশ থেকে টাকাও নিতে পারছেন না। এ বিষয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সুফল পাচ্ছেন না।